এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে: বকেয়া ভাড়ার জন্য বাংলাদেশি ভাড়াটে জাকির খানকে (৪৪) ছুরিকাঘাতে হত্যা-মামলায় নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস ক্রিমিনাল কোর্ট বাড়ির মালিক তাহা মেহরানকে (৫১) ১০ বছরের দণ্ড দিয়েছেন। সেই সঙ্গে কারাভোগের পর আরও ৫ বছর প্রবেশনে (কর্তৃপক্ষের নজরদারি) থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
২০ জুন বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন ব্রঙ্কস সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জেমস ম্যাককার্টি।
ব্রঙ্কস ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি ডারসেল ডি ক্লার্ক এ রায় প্রসঙ্গে জানান, ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ব্রঙ্কসের ১০০১ লগ্যান এভিনিউতে অবস্থিত ভবনের সামনে জাকির খানকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। পাশেই দাঁড়ানো ছিল তার ১১ বছরের সন্তান। ৯ মাসের ভাড়া বকেয়া থাকায় তাহা ক্ষুব্ধ ছিলেন। একই বাড়িতে থাকতেন জাকির ও তাহা। জাকির গাড়ি হাঁকিয়ে বাসায় আসা-যাওয়া করতেন দেখে হিংসায় জ্বলতেন মিসরীয় তাহা। বকেয়া ভাড়া আদায়ে সহায়তা চেয়ে কমিউনিটির অনেকের কাছে ধরনা দিয়ে সাড়া না পেয়ে নিকটস্থ ৪৫ প্রেসিঙ্কটে গিয়েও কোন সহায়তা পাননি বলে আইন নিজের হাতে তুলে নেন তাহা। এসব কথা জাকিরকে খুনের পর ওই প্রেসিঙ্কটে গিয়ে পুনরায় জানান কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে। গত ৩১ মে সুপ্রিম কোর্টে বিচার চলাকালে নিজের দোষ স্বীকার করার সময়েও তা উল্লেখ করেন তিনি।
মামলায় উল্লেখ করা তথ্যানুযায়ী, জাকিরের বুক এবং ঘাড়ে বেশ ক’বার আঘাতের পর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আরও ২৯টি আঘাতের চিহ্ন ছিল। গুরুতর অবস্থায় জাকিরকে নিকটস্থ জ্যাকবি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, সিলেটের সন্তান জাকির খান রিয়েল এস্টেট ব্রোকার ছিলেন। কমিউনিটির সভা-সমাবেশেও স্পন্সর করতেন।
জানা গেছে, তাকে দাফনের পর স্ত্রী-সন্তানেরা গৃহহীন হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে সিটি প্রশাসনের সহায়তায় স্বল্প ভাড়ায় থাকার ব্যবস্থা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম