নিউইয়র্কে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাদের এক সভা থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে মুক্তিযোদ্ধা এবং কঠোর পরিশ্রমী মানুষদের বিশ্বস্ত অভিভাবক হিসেবে অভিহিত করে বলা হয়, ‘শেখ হাসিনা আছেন বলেই বাংলাদেশ জেগে উঠেছে, ঘুরে দাঁড়িয়েছে জাতির জনকের স্বপ্নের বাংলাদেশ রচনায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রবাসীদেরকেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
শুক্রবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের অস্থায়ী অফিসে সংগঠনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক রাশেদ আহমেদের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সেক্টরস কমান্ডার ফোরামের গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মৃধা বেনু।
এটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি।
অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, ফোরামের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চুন্নু, নির্বাহী সদস্য মুক্তিযোদ্ধা এম এ আওয়াল, মুক্তিযোদ্ধা রমিজ উদ্দিন খান, ফোরামের অন্যতম সহ-সভাপতি হারুন ভূঁইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মিয়া, কোষাধ্যক্ষ আলিম খান, প্রচার সম্পাদক শাহ জে চৌধুরী, যুব সম্পাদক ফাহাদ সোলায়মান, নির্বাহী সদস্য হাজী এনাম, কানু দত্ত প্রমুখ।
মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মৃধা এ সময় বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে পাকিস্তানিরা এখনও কাড়ি কাড়ি টাকা ঢালছে বাংলাদেশকে অস্থির রাখতে, মুক্তিযোদ্ধাদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে। ওদের টাকায় সেই আলবদর, রাজাকার আর শান্তি কমিটির বেঁচে থাকা লোকজন এই প্রবাসেও অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। কয়েক বছর আগে বাংলাদেশে জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনে মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযুক্ত করতে ওরা আন্তর্জাতিক মহলকেও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল।
শাহজাহান মৃধা বলেন, সকল প্রবাসীকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে মুক্তিযোদ্ধা ও একাত্তরের চেতনায় উজ্জীবিত প্রবাসীদের একযোগে কাজ করতে হবে।
অপর বক্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘মাসিক সম্মানি ভাতা বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকা করার প্রস্তাব রয়েছে বাজেটে। এটি চলতি বাজার দরের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয়নি। তা ২৫ হাজার টাকা করলে ন্যূনতম বেঁচে থাকার অবলম্বন হবে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার জন্যে।’
রাজধানী ঢাকার নির্দিষ্ট কয়েকটি হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসার যে কর্মসূচি চালু রয়েছে, তা সারাদেশের হাসপাতালে চালুর আবেদন জানিয়ে প্রবাসের মুক্তিযোদ্ধারা আরও বলেন, ‘প্রবাসে কোনও মুক্তিযোদ্ধা মারা গেলে তার লাশ দাফনের আগ পর্যন্ত সমস্ত ব্যয়ভার বাংলাদেশ সরকার যাতে বহন করে সে নির্দেশ জারি করতে বঙ্গবন্ধু কন্যার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে।’
রাজাকার-আল বদর-আল শামস এবং শান্তি কমিটির সকলের তালিকা প্রকাশের জন্যেও এ সময় সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
আসছে ২৯ জুন রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডে মহিলা সমিতি মঞ্চে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের যে জাতীয় সম্মেলন হবে সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ফোরামের প্রতিনিধিত্ব করবেন সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চুন্নু এবং সদস্য মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল্লাহ, এ সিদ্ধান্তও জানানো হয় এ সভা থেকে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম