১৫ জুলাই, ২০২০ ১১:২৬

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল ইস্যুতেও পিছু হটলো ট্রাম্প প্রশাসন

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল ইস্যুতেও পিছু হটলো ট্রাম্প প্রশাসন

হার্ভার্ড, এমআইটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় ইউনিভার্সিটি এবং ম্যাসেচুসেটস, নিউইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়া স্টেটের এটর্নি জেনারেলদের মামলার মুখে পিছু হটেছে ট্রাম্প প্রশাসন। অনলাইনে ক্লাস চালু হওয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের যে নির্দেশ ৬ জুলাই জারি করা হয়েছিল, সেটি প্রত্যাহার করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

১৪ জুলাই ম্যাসাচুসেটস স্টেটের বস্টন ফেডারেল কোর্টে মামলার শুনানির প্রাক্কালে বিবাদিপক্ষ তথা ট্রাম্প প্রশাসন উপরোক্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার পর বিচারক এলিসন বুরোরর সামনে একটি লিখিত চুক্তি হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী ভিসা বহাল থাকবে এবং আগের মতোই তারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করতে পারবে ক্লাস/কোর্সে সশরীরে অথবা ভার্চুয়ালি অংশ নিতে।

উল্লেখ্য, হোমল্যান্ড সিকিউরিটির পূর্বের ওই বিশেষ নির্দেশ অনুযায়ী যেসব আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী স্বেচ্ছায় নিজ নিজ দেশে ফিরতে অনীহা প্রদর্শন করতেন, তাদেরকে আইস (ইমিগ্রেশন এ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) এর লোকজন গ্রেফতার করে বহিষ্কার করতো। আর যারা করোনা মহামারির আতঙ্কে নিজ নিজ দেশে গেছেন, তারা আর ফিরতে পারতেন না। এমনকি সেপ্টেম্বরে শুরু নতুন শিক্ষাবর্ষে যারা ভিসা পেয়েছেন তারাও আসতে পারতেন না।

ওই আদেশ জারির পর সর্বত্র ক্ষোভের সঞ্চার ঘটে। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি এবং এমআইটি যৌথভাবে আদালতে যায়। তারা অবিলম্বে এমন একটি নির্দয় আদেশ স্থগিতের আবেদন জানান। এরপর সেই মামলায় শরিক হয় বেশ কটি ইউনিভার্সিটি এবং ২৩টি সিটিসহ ১৮ স্টেটের এটর্নি জেনারেল। পৃথক মামলা করা হয় এবং করার উদ্যোগ নেওয়া হয় কয়েকটি স্টেটে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।

মামলার শুনানির দিন গুগল, ফেসবুক, টুইটারসহ বেশ কয়েকটি টেকনোলজি কোম্পানীর শীর্ষ কর্মকর্তারা আদালতে এসেছিলেন বাদিপক্ষে বক্তব্য দিতে। কারণ, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা না এলে তারা বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হবেন। এসব কোম্পানীর পক্ষ থেকে আদালতে পেশকৃত আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হিসেবে যারা যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষার জন্যে আসেন তারা আমেরিকার ভবিষ্যত ব্যবসায়ী অঙ্গনকে বৈচিত্র্যময় করতে অপরিসীম অবদান রাখেন। তাদের আগমনের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তাই, সামগ্রিক পরিস্থিতির স্বার্থেই ভিসা নিষিদ্ধের নির্দেশ প্রত্যাহার করা উচিত।

এই চুক্তি সম্পাদনের পর জর্জ এলিসন বলেন, এরপর জারিকৃত ওই নির্দেশ নিয়ে কোন পক্ষই প্রশ্নের অবতারণা করতে পারবেন না। আর এটি প্রযোজ্য হবে সারা আমেরিকায়।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর