আটক সকল অভিবাসীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে ২৭ জুলাই মানবাধিকার কর্মীসহ অভিবাসন-এটর্নিরা ক্যালিফোর্নিয়া স্টেটের গভর্নর গ্যাভিন নিউসোমের ফেয়ারঅক্সের বাসার গেইটে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন।
করোনা মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে অবৈধ অভিবাসীদের ডিটেনশন সেন্টারে রাখার মধ্য দিয়ে ভয়ংকর একটি পরিস্থিতিতে নিপতিত করা হয়েছে যা মানবিকতার পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারিরা।
‘ক্যালিফোর্নিয়া লিবারেশন কালেকটিভ’ লেখা ব্যানার নিয়ে সবার একটাই স্লোগান সকলের মুক্তি চাই। এ সময় ইমিগ্রেশন এটর্নি লিসা নোক্স অভিযোগ করেন, স্টেট গভর্নরর নিউসোম দ্বিচারিতা করছেন ন্যায় বিচারের প্রশ্নে।
বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশের পরও স্টেট গভর্নর গ্যাভিন শত-সহস্র কৃষ্ণাঙ্গ এবং বাদামি রংয়ের অভিবাসীকে ডিটেনশন সেন্টারে আটক রেখেছেন। করোনা সংক্রমণের হার এসব ডিটেনশন সেন্টারেও উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে, এটি জেনেও তিনি নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন। আর এভাবে তিনি অসহায় মানুষগুলোকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন। অথচ এদের নিরাপত্তা বিধানের পুরো দায়িত্ব তার।
এদিকে সোমবার সকাল পর্যন্ত এই স্টেটের ডিটেনশন সেন্টারে ৯৬৯ জন অবৈধ অভিবাসী করোনায় আক্রান্ত হবার সংবাদ এসেছে। প্রতিদিনই এ সংখ্যা বাড়ছে। কারণ, ডিটেনশন সেন্টারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয় না অধিকাংশ সময়েই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যবস্থাও নেই। সমগ্র আমেরিকার ডিটেনশন সেন্টারে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭৮০।
এর মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার সানদিয়েগো সেন্টারেই রয়েছেন ১৬৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও রয়েছেন বলে জানা গেছে। এরা দালালকে মোটা টাকা দিয়ে বিভিন্ন পথ ঘুরে মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় আইস কর্তৃক গ্রেফতার হয়েছেন। সকলেই বিএনপির সমর্থক হিসেবে এসাইলাম চেয়েছেন। কিন্তু তা বিবেচনাধীন রয়েছে। এ অবস্থায় তাদের প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু ট্রাম্পের সর্বশেষ বিধি অনুযায়ী, মেক্সিকো হয়ে বেআইনিভাবে যুক্তরাষ্ট্রে আগতদের এসাইলাম না মঞ্জুরের পরই নিজ নিজ দেশে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া চলছে। করোনার কারণে এ প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা