নিউইয়র্কে বাংলাদেশিসহ এশিয়দের আস্থার কংগ্রেসওম্যান হিসেবে বিবেচিত গ্রেস মেং বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সম্মানজনক নেতৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বিদ্যমান জটিল কিছু সমস্যার আশু সমাধানের জন্য ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে বাইডেন-হ্যারিসের বিজয়ের বিকল্প নেই। আর এই বিজয় অর্জনের জন্যে দরকার ব্যাটেলগ্রাউন্ড তথা বিজয় নির্ধারণী সিদ্ধান্তহীন স্টেটসমূহ, বিশেষ করে পেনসিলভেনিয়া, ওহাইয়ো এবং মিশিগানে ব্যাপক ভোট প্রার্থনায় অংশগ্রহণ। আর এই করোনাকালীন সময়ে তা করতে হবে ফোনসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
গত বুধবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের এশিয়ান-আমেরিকান কমিউনিটির শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের সাথে এক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে ডেমক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কমিটির ভাইস চেয়ার গ্রেস মেং আরো বলেন, ‘বাইডেন-হ্যারিসের বিজয়ে এশিয়ান আমেরিকানরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অধিষ্ঠিত হতে পারেন। আর এরমধ্য দিয়েই অভিবাসন ইস্যুতে যে ভীতিকর পরিস্থিতি ট্রাম্প প্রশাসন তৈরি করেছে সেটির অবসানের পথ সুগম হবে।’
বাইডেন-হ্যারিসের পক্ষে নিউইয়র্কে এশিয়ান-আমেরিকানদের জোট-কে সোচ্চার করার অভিপ্রায়ে এ মিটিংয়ে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক অলিম্পিয়ান মিশেল কাওয়ান, লেখক-মানবাধিকার সংগঠক মায়া হ্যারিস, স্টেট সিনেটর জন ল্যু, স্টেট সিনেটর কেভিন থমাস, স্টেট এ্যাসেম্বলিম্যান রন কিম, স্টেট এ্যাসেম্বলিম্যান ইউহ-লাইন নিউ, কুইন্স বরোর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট শ্যারন লি, নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলম্যান মারগারেট চীন, কাউন্সিলম্যান পিটার কো, ডেমক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কমিটিতে এশিয়ান-আমেরিকান বিষয়ক ককাসের চেয়ার বেল লিয়ং-হং, ‘বাইডেন ফর প্রেসিডেন্ট’ জোটে এশিয়ান-আমেরিকান অ্যান্ড প্যাসিফিক আইল্যান্ডার বিষয়ক পরিচালক অমিত জ্যানি প্রমুখ।
উল্লেখ্য, পেনসিলভেনিয়া, নর্থ ক্যারলিনা, মিশিগান, ফ্লোরিডা ও ওহাইয়ো স্টেটের বিজয় নিশ্চিত করা সম্ভব হলেই বাইডেন-হ্যারিসের জয় রিপাবলিকানরা ঠেকাতে সক্ষম হবে না বলে ভোট-বিশ্লেষকরা মনে করছেন। সে আলোকেই ডেমক্র্যাট অধ্যুষিত স্টেটের ভোটারদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে ঐসব স্টেটে পরিচিতজনদের সোচ্চার করতে। এ নিয়ে কালক্ষেপণের কোন অবকাশ নেই বলে ‘এশিয়ান ফর বাইডেন’র নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক