ইলেক্টোরাল ভোটে বাইডেনের বিজয় বার্তায় উল্লাস করছেন প্রবাসীরাও। এমন প্রত্যাশায় তারা প্রহর গুণছিলেন বছরখানেক আগে থেকেই। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কিছু অমানবিক পদক্ষেপ এবং লাগাতার মিথ্যাচার, বিশেষ করে করোনা নিয়ে তামাশায় প্রবাসীরাও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। ব্যালট বিপ্লবে এমন অপশাসনে বদ্ধ পরিকর ছিলেন বলেই বিজয় বার্তায় উল্লসিত তারা।
বাংলাদেশী অধ্যুষিত প্রতিটি জনপদেই গত ৪৮ ঘণ্টায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছিল। সর্বত্র একই আলোচনা ছিল যে, বাইডেনের কী জয় হবে। ট্রাম্পের কূটচালে বাইডেনও কী হেরে যাবেন। ইত্যাদি প্রশ্নবাণে জর্জরিত প্রবাসীরা বিজয় বার্তায় অভিভূত। স্থানীয় সময় শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় সিএনএন ভোটের সর্বশেষ গতি-প্রকৃতি আলোকে এই ঘোষণা দেয়। জেতার জন্যে প্রয়োজনীয় ২৭০ ইলেক্টরাল ভোটের বেশী অর্জিত হবার পরই তারা এ সিদ্ধান্ত জানালো।
নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসের আলম খান বললেন, মনটা নাচতে চাইছে। ঘনিষ্ঠরা অভিবাসনের ভিসার অপেক্ষায় প্রহর গুণছিলেন। ট্রাম্পের বিদায় বার্তায় সে অনিশ্চয়তা কেটে যাবে নিশ্চয়ই।
নিউইয়র্কে ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্টিক্ট লিডার এটর্নী মঈন চৌধুরী বললেন, অভিশাপ মুক্ত হলো যুক্তরাষ্ট্র।
ডেমক্র্যাট খোরশেদ খন্দকার এবং ফাহাদ সোলায়মান সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাইডেনের বিজয়ে সর্বাত্মক সহায়তার জন্য। বিজয়ের এ ধারা অব্যাহত রাখতে সকলকে ডেমক্র্যাটিক পার্টির পতাকাতলে জড়ো হবার আহবান জানিয়েছেন তারা।
রিপাবলিকান গিয়াস আহমেদ সবচেয়ে বেশী আনন্দিত বাইডেনের বিজয়ে নয়, ট্রাম্প-যুগের অবসানে। ট্রাম্পের আচরণে গোটা সভ্যবিশ্বই ক্ষুব্ধ আমেরিকার ওপর।
বাংলাদেশ সোসাইটির বোর্ড অব ট্রাস্টিও অন্যতম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন পরম করুণাময়ের শোকরিয়া আদায় করেছেন আমেরিকানদের অবিস্মরণীয় বিজয় ঘটায়।
তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কর্তৃক বাইডেনের বিজয়কে অভিনন্দিত করার ঘটনা এখনও ঘটেনি। অধিকন্তু তিনি আইনী লড়াইয়ের শেষ দেখার হুমকি অব্যাহত রেখেছেন-যা রিপাবলিকান নীতি-নির্দ্ধারকদের ক্ষেপিয়ে তোলেছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল