বাহরাইনে গত ২২ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া পর সচল জনজীবন অচল হয়ে পড়ে। ভাইরাসটির বিস্তার রোধে ধীরে ধীরে গ্রহণ করা হয় নানা পদক্ষেপ। নিষেধাজ্ঞা আসে কোলাকুলি, হ্যান্ডশেক ও জনসমাগমে।
পর্যাক্রমে গত ২০ মার্চ মসজিদে জুমার নামাজ নিষিদ্ধ ও ২৩ মার্চ বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয় দেশটির সরকার। পর পর কয়েক ধাপে আংশিক লকডাউন করে দেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো।সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় মসজিদে নামাজ আদাই করা। ভাইরাসটির কাছে জিম্মি ও অচল হয়ে পড়ে জনজীবন।
করোনার প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে মাস্ক, জনসমাগম ও সামাজিক দূরত্বের প্রতি গুরুত্ব দিয়েই অতিক্রান্ত হয় করোনা কাল। মানসম্মত ব্যবস্থাপনা ও সচেতনতার কারণে ধীরে ধীরে আগের তুলনায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে করোনা পরিস্থিতি।
জীবন-জীবিকার তাগিদে আস্তে আস্তে খুলে দেওয়া হয় বেশীরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। এবার চালু করা হচ্ছে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জিমের কেন্দ্র, মসজিদ, বিমান চলাচল, অনুমতি মিলে শিশা দোকান ও হোটেলে বসে খাওয়ার।
গত ২৪ জুন ৪১৪ জন যাত্রী নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে বাহরাইন থেকে ছেড়ে যায় বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট। তবে এখন পর্যন্ত ফিরতি কোনো বিশেষ ফ্লাইট বাংলাদেশ থেকে বাহরাইনে আসেনি।
গত ২৮ আগস্ট শুধুমাত্র নিয়ম অনুযায়ী ফজরের নামাজের জন্য খুলে দেওয়া হয় মসজিদগুলো। ২৪ অক্টোবর থেকে খাবার হোটেলে সর্বোচ্চ ৩০ জনের মতো বসে খাওয়ার বিধান রেখে অনুমতি ও ২৫ অক্টোবর থেকে নিয়ম অনুযায়ী খুলে দেওয়া হয় সকল পর্যায়ের সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
আজ রবিবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হবে মসজিদে জোহরের নামাজ। ফলে আজ থেকে নিয়ম অনুযায়ী ফজর ও জোহরের নামাজ মসজিদে পড়ার সুযোগ হবে। এতে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার একটি সম্ভাবনা রয়েছে এবং এতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বাহরাইনে বসবাসরতদের মাঝে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম সচিব (লেবার কাউন্সিলর) শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, করোনার প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমেছে। তবে শীতে যেকোনো সময় বেড়ে যেতে পারে। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই