স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত পালমা দে মায়োরকা দ্বীপ। এখানে প্রায় সহস্র বাংলাদেশির বসবাস। যাতায়াতের জন্য জাহাজ এবং বিমান ছাড়া বিকল্প কোন পরিবহন নেই। খরচ প্রায় ২৫০ ইউরো যা বাংলাদেশি ২৫ হাজার টাকার সমমান!
প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ এবং গুরুত্বপূর্ণ সময় বাঁচাতেই সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাস সেবা প্রদান করছে। রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকারের এই ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলার সেবা শুরু করেছেন। বছরে ২ বার পালমা দে মায়োরকা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে গত ২৯ অক্টোবর দূতাবাস তাদের নিজস্ব ফেইসবুক পেইজে একটি বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে জানান, নভেম্বরের ৭ এবং ৮ তারিখ প্রবাসীদের সকাল ১০ টা থেকে বিকাল পর্যন্ত বাসমতী রেস্টুরেন্টে (কাইয়্যা দে কারো ৭,০৭০১৩ পালমা) সেবা প্রদান করা হবে।
সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে, নতুন শিশুদের পাসপোর্ট আবেদন গ্রহণ, মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে এমন ডিজিটাল পাসপোর্টের রি-ইস্যুর আবেদন গ্রহণ, হাতে লেখা পাসপোর্টধারীদের নতুন ফিংগারপ্রিন্ট ও ছবি গ্রহণ, সকল প্রকার ভিসার আবেদন, বাংলাদেশী স্প্যানিশ পাসপোর্টে নো ভিসা রিকোয়ার্ড আবেদন গ্রহণ, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন সত্যায়ন, প্রয়োজনীয় কাগজাদী সত্যায়নসহ যাবতীয় সনদের আবেদন গ্রহণ করা হবে।
এই সেবার বিষয়ে বাসমতি রেস্টুরেন্টের মালিক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী মো: শাহীন জানান, দূতাবাসের এই কার্যক্রম খুবই প্রশংসার দাবি রাখে। তিনি জানান, এই সেবার ফলে একদিকে এই দ্বীপের বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশীদের অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি, কর্ম ব্যস্ত মানুষের শারীরীক এ মানসিক কষ্ট লাঘব হয়েছে।
দূতাবাসের কর্মকর্তা প্রথম সচিব (শ্রম) মো: মুতাসিমুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা রেজাশাহ পাহলভী, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর (শ্রম উইং) মো:শফিকুল ইসলাম এই কনস্যুলার সেবা পরিচালনা করেন।
রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার (বিপিএম, পিপিএম, এনডিসি) বলেন, প্রবাসীদের সেবা প্রদানের জন্যই মূলত সরকার আমাকে এখানে পাঠিয়েছে। আমার লক্ষ্য জনগণের দ্বারপ্রান্তে সর্বোচ্চ সেবাটা পৌঁছে দেয়া।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল