গত নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি এশিয়ান-আমেরিকান ভোট দিয়েছেন। ইউএস সেনসাস ব্যুরো ২৯ এপ্রিল এ তথ্য প্রকাশ করেছে। করোনা মহামারি সত্বেও একবিংশ শতাব্দির যে কোন নির্বাচনের চেয়ে বেশি আমেরিকান কেন্দ্রে গিয়ে ব্যালট যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় বলেও সেনসাস ব্যুরো উল্লেখ করেছে। প্রায় ৬৭% আমেরিকান অংশ নেয় জো বাইডেন আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভোট যুদ্ধে। সর্বাধিকসংখ্যক ভোটারের এ নির্বাচনে এশিয়ান-আমেরিকানরাও রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ৫৯.৭% এশিয়ান ভোট প্রদান করেছেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুত বর্ধনশীল কমিউনিটি হচ্ছে এশিয়ান-আমেরিকানরা। ২০১৯ সালের চেয়ে ২০২০ সালে এশিয়ান-আমেরিকানের সংখ্যা বেড়েছে ৮১%। ভোট পর্যালোচনায় আরো উদ্ঘাটিত হয়েছে যে, বাইডেনের বিজয়ে এশিয়ান-আমেরিকানরা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। এশিয়ান-আমেরিকান লিগ্যাল ডিফেন্স এ্যান্ড এডুকেশন ফান্ডের জরিপে আরো প্রকাশ পায় যে, জো বাইডেনের প্রতি এশিয়ানদের সমর্থনের ব্যাপারটি ছিল প্রকাশ্যে এবং সংঘবদ্ধভাবে। নির্বাচনী ময়দানেও তারা সরব ছিলেন।
জরিপে আরও জানা গেছে, এশিয়ান-আমেরিকান ভোটারের ৬৮% ছিলেন বাইডেনের পক্ষে। অপরদিকে ট্রাম্পের পক্ষে ছিলেন ২৯%। জর্জিয়া, পেনসিলভেনিয়া, মিশিগান এবং নেভাদার মত দোদুল্যমান স্টেটগুলোতেও বাইডেনের পক্ষে প্রায় সকল এশিয়ানই কাজ করেছেন। আর এভাবেই বাইডেনের বিজয়ে এশিয়ান-আমেরিকানরা মূলধারার রাজনীতিতেও বিশেষ এক আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মন্তব্য করছেন। নতুন ভোটারের মধ্যেই ট্রাম্প-বিরোধী মনোভাব প্রবল ছিল। এবং ট্রাম্পকেই পরাজিত করতে তারা মরিয়া হয়ে কাজ করেছেন নিজ নিজ নেটওয়ার্কে। এশিয়ান-আমেরিকান লিগ্যাল ডিফেন্স এ্যান্ড এডুকেশন ফান্ডের নির্বাহী পরিচালক মার্গারেট ফাং এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, ট্রাম্পের সাথে বাইডেনের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবার মত স্টেট সমূহে বাইডেনের পাল্লা ভারি করার ক্ষেত্রে তরুণ-প্রজন্মের এশিয়ান ভোটাররা নেয়ামকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তাই এশিয়ানদের কথা যেন কোনভাবেই রাজনৈতিক পরিক্রমায় খাটো করে দেখা না হয়। বিশেষ করে বাইডেন প্রশাসনে এশিয়ানরা যাতে অবহেলা-অবজ্ঞার শিকার না হন সেদিকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট সকলের খেয়ার রাখা দরকার।
উল্লেখ্য, পপুলার ভোটে ট্রাম্পের চেয়ে বাইডেন ৭০ লাখ ভোট বেশি পেয়েছেন। ইলেক্টরাল কলেজ ভোটেও ৩০৬ ভোট পেয়েছেন বাইডেন এবং ট্রাম্পের ভাগ্যে জুটে ২৩২ ভোট।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন