নেপালে বিক্ষোভকারীদের দেওয়া আগুনে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানালের স্ত্রীর মৃত্যুর খবর দিয়েছে একাধিক সংবাদমাধ্যম।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার রাজধানী কাঠমান্ডুর দাল্লু এলাকায় ঝালানাথ খানালের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন জেন-জি বিক্ষোভকারীরা। এতে দগ্ধ হন তার স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী চিত্রকর।
পরিবারের সদস্যরা জানান, গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কীর্তিপুর বার্ন হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, এর আগে দেশজুড়ে জেন-জিদের নেতৃত্বে চলা বিক্ষোভের জেরে আজ মঙ্গলবার পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গতকাল সোমবার থেকে নেপালে বিক্ষোভ চলছে। কারফিউ উপেক্ষা করে আজও সকাল থেকে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নামেন।
বিক্ষোভকারীরা নেপালি কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রী ও রাজনীতিকের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালান। গত সপ্তাহে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, এক্সসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম ও বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ওলির নেতৃত্বাধীন সরকার।
সরকারের এ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গতকাল রাজপথে নেমে বিক্ষোভ করেন নেপালের কয়েক হাজার মানুষ। বিক্ষোভকারীদের বেশির ভাগই তরুণ বা জেন-জি প্রজন্মের। রাজধানী কাঠমান্ডুসহ অন্তত সাতটি শহরে এদিন ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। দ্বিতীয় দিনের বিক্ষোভে আরও দুইজন নিহত হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২-এ; আহত হয়েছেন তিন শতাধিক।
উত্তেজিত জনতা ইতোমধ্যে কাঠমান্ডুর কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ভবন সিংহ দরবার এবং প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন শীতলনিবাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌদেলও, প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল ‘প্রচণ্ড’ ও শেরবাহাদুর দেউবার সরকারি বাসভবনেও হামলা চালানো হয়।
দেউবার বাসভবনে হামলার সময় তিনি ও তাঁর স্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অর্জু রানা দেউবা, আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যালয়ও বিক্ষোভকারীদের হামলার শিকার হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে
বিডি প্রতিদিন/নাজিম