বাংলাদেশের হাওর ও উপকূলীয় এলাকায় ধানের ব্লাস্ট রোগের টেকসই ব্যবস্থাপনা এবং প্রতিরোধী জাত উদ্ভাবন বিষয়ক কর্মশালা হয়েছে। শুক্রবার নগরীর সাগরদিতে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) উদ্যোগে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো প্রফেসর ড. মো. তফাজ্জল ইসলাম।
আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সহিদুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ডীন ড. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এবং পবিপ্রবির গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. মামুন উর রশিদ।
প্রবন্ধ উপস্থাপনায় ছিলেন ব্রির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহম্মাদ আশিক ইকবাল খান।
প্রধান অতিথি বলেন, আমাদের দেশে প্রতি বছর দশ মিলিয়ন করে লোক বাড়ছে। তাই ধানের ফলন বাড়ানো অব্যাহত রাখা দরকার। অথচ পরিবর্তিত জলবায়ুর কারণে দেশে বিভিন্ন জায়গায় ধানে ব্লাস্টের আক্রমণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর এ জন্য এমন জাত উদ্ভাবন করা জরুরি, যা ব্যবহার করলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আমরা সবাই মিলে কাজ করলে অবশ্যই কৃষকদের ভালো কিছু দিতে পারবো ইনশা-আল্লাহ।
ব্রির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রেজোয়ান বিন হাফিজ প্রান্তর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বরিশালের ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস- চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শহিদুল ইসলাম, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের উদ্ভিদ রোগতত্ত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. রুবেল মাহমুদ, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন প্রমুখ। কর্মশালায় ব্রি, ডিএই, বারি, বিনা, এসআরডিআই ও কৃষি তথ্য সার্ভিসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলে ২০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম