ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-৪ আসন গঠিত। আসনটিতে এবারের নির্বাচনে বিএনপি থেকে প্রার্থী হতে প্রচারণায় নেমেছেন জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক ভিপি অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ নাননু, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আলহাজ জহিরুল হক শাহাজাদা মিয়া, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুর রহমান দুলাল। এ ছাড়া ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম ও জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি শাহরিয়া ইসলাম শায়লাও মনোনয়ন প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালাচ্ছেন। জামায়াতের একমাত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন দলটির ভাঙ্গা উপজেলা শাখার আমির মাওলানা সারোয়ার হোসেন। খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হিসেবে মিজানুর রহমান মোল্লা বেশ প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে সরব রয়েছেন মুফতি রায়হান জামিল। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করছি। ছাত্রদল থেকে শুরু করে যুবদল হয়ে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম জেল-জুলুম, ফ্যাসিবাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছি। ১২৮টি রাজনৈতিক মামলা কাঁধে নিয়ে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করেছি। দলকে শক্তিশালী করতে এখনো কাজ করে যাচ্ছি। দলের নীতিনির্ধারক মহল আমার প্রতি ইতিবাচক রয়েছে। হাইকমান্ডের নির্দেশে আমি এ আসনে কাজ করছি। আমার বিশ্বাস- দল আমাকে মূল্যায়ন করবে। আরেক প্রার্থী অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ নাননু বলেন, দীর্ঘ তিন যুগের বেশি সময় দলের জন্য কাজ করছি। নেতা-কর্মীদের সুখে-দুঃখে পাশে আছি। স্বৈরাচার এরশাদ, হাসিনার আমলে বারবার হামলা, মামলার শিকার হয়েছি। এ আসনের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। তারা পরিবর্তন চায়। আমি বিশ্বাস করি- দল আমাকে মনোনয়ন দেবে। অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান দুলাল বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামে বিগত দিনে মাঠে ছিলাম। এলাকার মানুষের জন্য অনেক কাজ করেছি। আশা করছি দল আমাকে মূল্যায়ন করবে। জামায়াত প্রার্থী মাওলানা সারোয়ার হোসেন বলেন, এ আসনে জামায়াতকে শক্তিশালী করতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। দলীয় নীতিনির্ধারণী ফোরাম আমাকে কাজ করে যেতে বলেছে। আমি এ আসনের প্রত্যেকটি এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলছি।
খেলাফত মজলিসের মিজানুর রহমান মোল্লা বলেন, এ আসনের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এলাকায় তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। এবার ভোটাররা পরিবর্তন চায়। এ আসনের ভোটাররা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে তাদের উন্নয়নের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাব।