জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করার মিশনে নেমেছে সিলেট মহানগর বিএনপি। তৃণমূলকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতে মহানগরীর বর্ধিত ১৫টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সব থানা কমিটি। এ লক্ষ্যে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় চলছে সাংগঠনিক সভা-সমাবেশ। সংগঠনকে সুসংগঠিত করতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে পাড়া-মহল্লার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। দলের নেতারা বলছেন, পতিত হাসিনা সরকারের আমলে মুক্তভাবে দলীয় কার্যক্রম চালাতে পারেনি বিএনপি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন নেতা-কর্মীরা নির্বিঘ্নে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারছেন। ফলে প্রাণ ফিরে পেয়েছে তৃণমূল। বাড়ছে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতাও। মহানগরীর পুরোনো ২৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলের মাধ্যমে আহ্বায়ক কমিটি হলেও পূর্ণাঙ্গ করা সম্ভব হয়নি। হাসিনা সরকারের পতনের পর নির্বাচনে সামনে রেখে গতি এসেছে সিলেট মহানগর বিএনপিতে।
ইতোমধ্যে বর্ধিত ১৫টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কাউন্সিলে পাড়া-মহল্লা কমিটির ভোটারদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন ওয়ার্ড সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক। এরপর গঠন করা হবে ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। বিএনপি নেতারা জানান, আগামী সংসদ নির্বাচন টার্গেট করে মহানগরীর সব ওয়ার্ড ও থানা কমিটি শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে পাড়া-মহল্লা ও ওয়ার্ড কমিটিকে। বিভিন্ন সাংগঠনিক টিম করে পাড়া-মহল্লা ও ওয়ার্ড কমিটির ব্যানারে চলছে সভা-সমাবেশ।
ওয়ার্ডের সভাগুলোতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও উপস্থিত থাকছেন। এসব সভা থেকে দলীয় শৃঙ্খলা ও কার্যক্রম জোরদার, জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি, নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক পরামর্শ ও তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের ৩১ দফা বাস্তবায়নে নেতা-কর্মীদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী জানান, দলকে আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে তৃণমূলকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পুরোনো ওয়ার্ডগুলোতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও নতুন ওয়ার্ডে কাউন্সিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। থানা কমিটিগুলোও পুনর্গঠন করা হচ্ছে। পাড়া-মহল্লা ও ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে সভা করা হচ্ছে।