কাতার-ভিত্তিক হামাস নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনী এবং শিন বেত (ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা)-এর সমন্বয়ে বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, তারা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের শীর্ষ নেতাদের এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করেছে।
ইসরায়েলি চ্যানেল টুয়েলভ সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, হামাস প্রতিনিধিদল যখন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সর্বশেষ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছিল, তখনই এই হামলা চালানো হয়।
হামাসের পক্ষ থেকে লেবানন ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল মায়াদিনকে নিশ্চিত করা হয়েছে, তাদের আলোচনা প্রতিনিধি দল ইসরায়েলের এই হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে গেছে। তবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ হানি আল-দালির মতে, দোহার হামলায় হামাসের বেশ কিছু কর্মী শহীদ হয়েছেন। যদিও শীর্ষ নেতৃত্ব বেঁচে গেছেন। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বিত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এই হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
আল-দালি বলেন, দোহার ওপর এই হামলা প্রমাণ করে যে, গাজায় চলমান যুদ্ধের অংশ হিসেবে আলোচনাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। রয়টার্সের সংবাদদাতারা দোহার কাতারা জেলায় বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখতে পেয়েছেন।
পর্যবেক্ষকদের মতে, দোহার এই হামলা আবারও ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী মনোভাবের প্রমাণ। শান্তির আলোচনা চলাকালীন সময়েই তারা সহিংসতা ব্যবহার করে আলোচনা বানচাল করার চেষ্টা করছে। যেমনটা জুনে ইরান আক্রমণের আগে করেছিল, ঠিক একইভাবে তারা এবার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের বিরুদ্ধেও একই কৌশল গ্রহণ করেছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল