লক্ষীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেছেন, আমি কোনোদিন আওয়ামী লীগের বড় পদের লোভে রাজনীতি করিনি। একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে শুধু কাজ করতে চেয়েছি। তবে যে কাজই করেছি ধৈর্য্য নিয়ে করেছি। যত্ন নিয়ে করেছি। রাজনৈতিক সহ-কর্মীদের খারাপ আচরণে রিএ্যাক্ট করা থেকে সচেতনভাবে বিরত থাকার চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করেছি কিভাবে সবার উপকার করা যায়। সেবা করা যায়। সব সময় আমার নজর ছিলো কিভাবে কাজ করা যায়। অর্থাৎ যে কাজ কেউ করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করতো না আমি তা সব সময় হাসি মুখে করতাম। এটা সিনিয়র নেতাদের দৃষ্টি কেড়েছে। তাদের মন জয় করেছে। ফলে তারাই আমাকে ভালোবেসে সব সময় বড় পদ দিয়েছেন। আমি সংসদ সদস্য হবো তাও আমার মাথায় ছিলোনা। আমি ভেবেছি যে যাকে দল মনোনয়ন দেবে তাকে পাশ করিয়ে আনার জন্য তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট বানিয়ে দিলেই আমি খুশি। কিন্তু দলের নেত্রী মনোনয়ন বোর্ডে আমার নাম প্রস্তাব করলেন। আমি সেলুনে চুল কাটাতে যাচ্ছিলাম। একজন প্রেসিডিয়াম মেম্বার বোর্ড সভা থেকে ফোন করে আমাকে খবরটি জানালেন।
তিনি বলেন, কথাগুলো বললাম এই কারণে যে অনেকে বলেন, ত্যাগী নেতাদের শেখ হাসিনা বা দল মূল্যায়ন করে না। একথা পুরোপুরি সত্য নয়। এটা হতে পারে ১০ ভাগ লোকের ক্ষেত্রে। কিন্তু গত নির্বাচনে এমন সব নেতারা মন্ত্রী হয়েছেন, সংসদ সদস্য হয়েছেন যারা নিজেও আশা করেনি যে সে মন্ত্রী হবেন বা এমপি হবেন। অর্থাৎ তারা সবাই ত্যাগী নেতা। দলীয় নেত্রী এবং দল তাদের ত্যাগের মূল্যায়ন ঠিক এই ভাবেই করেছে। সুতরাং যারা আওয়ামী লীগকে ভালোবাসে, যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে, যারা শেখ হাসিনাকে ভালোবাসে তারা কখনো পদের জন্য দলের কাজ বাদ দিয়ে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকে না। তারা দলের নির্দশনা মেনে নীরবে কাজ করে যায়। এবং সময় হলে দল তাকে তার পুরষ্কার দেয়, মূল্যায়ন করে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অ্যাডভোকেট নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের সম্মানে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ২৪ জুলাই রবিবার রাতে ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ফজলুর রহমান।
নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে একটি পার্টি হলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান, আব্দুল হাসিব মামুন, গোয়াইন ঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ, জাতীয় এ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক ও যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুর রকিব মন্টু, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাজী দুলাল মিয়া এনাম (হাজী এনাম), কৃষি বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ আশরাফুজ্জামান প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো ছিলেন সেচ্ছাসেবক লীগের শাখাওয়াত বিশ্বাস, যুবলীগের সেবুল মিয়া, মহিলা আওয়ামী লীগের নেতা এ্যাডভোকেট মোর্শেদা জামান, সবিতা দাস, অধ্যাপক ইমাম উদ্দিন চৌধুরী, নূর হোসেন লিটন, প্রফেসর ইব্রাহিম চৌধুরী রতন, জাহাঙ্গীর চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেন চুন্নু, লোকমান হাকিম প্রমুখ।
এ্যাডভোকেট নূর উদ্দিন চৌধুরী আগামী নির্বাচনে প্রবাসের সকল নেতাদের কম করে হলেও নিজের বাড়ির পাশের ভোট কেন্দ্রটিতে যেন আওয়ামী লীগ সর্বোচ্চ ভোট পায় সে লক্ষ্য সামনে নিয়ে আগামী দেড় বছর নীরবে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল