বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া (প্রস্তাবিত) শাখা যৌথভাবে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টায় অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া রাজ্যের রাজধানী অ্যাডিলেডে অবস্থিত IAASA (ইন্ডিয়ান অস্ট্রেলিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথ অস্ট্রেলিয়া) হলে এই সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হয়।
প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়া ছিল চতুর্থ দেশ, প্রথম পশ্চিমা দেশ এবং উন্নত দেশগুলির মধ্যেও প্রথম, যা ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয় এবং তারপর থেকে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার এবং বৈচিত্র্য অব্যাহত রয়েছে। এটি ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের একটি উপলক্ষ্যও যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে জননেতা শেখ মনি ১১ নভেম্বর, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন।
অস্ট্রেলিয়া যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান শামীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্লামেন্ট অফ অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি, পরিবেশ ও পানি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি টনি জাপিয়া এমপি, মূল বক্তা ছিলেন অস্ট্রেলিয়া যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজমল হক পাপ্পু। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সালিসবারির ডেপুটি মেয়র চাড বুকানন জেপি এবং ইন্ডিয়ান অস্ট্রেলিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথ অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি ত্রিমান সিং গিল। অস্ট্রেলিয়ান ইয়ং লেবার এর একজন প্রাক্তন নেতা এবং দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া যুবলীগের প্রস্তাবিত আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক নাজিউল খান বীর স্বাগত বক্তব্য দেন ও অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে টনি জাপিয়া এমপি বলেন, "অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত গফ হুইটলামের নির্দেশে, অস্ট্রেলিয়া ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের যোগদানের ক্ষেত্রে কূটনৈতিকভাবে সহায়তা করেছিল। অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতি রয়েছে এবং আমাদের সম্পর্ক ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য, শিক্ষা, খেলাধুলা এবং জনগণের সাথে জনগণের সম্পর্ক বৃদ্ধির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।" তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের পাশাপাশি আধুনিক অস্ট্রেলিয়ার স্থপতি, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত গফ হুইটলাম তার বাংলাদেশ সফরে বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাতের প্রশংসা করেন, ১৯৭৫ সালের ১৯ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার কোনো প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশে প্রথম ও শেষ সফর ছিল। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ত্রিমান সিং গিল এবং চাদ বুকানন জেপি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা তারিক আনজাম, ডা. গোলাম মোর্তোজা রাসেল, ড. আলাউদ্দিন তালুকদার, আবু শেখ আশেক এবং দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে প্রথম বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত প্রার্থী, মুনহেমুল খান প্রমুখসহ অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন রাজ্য থেকে ৭০ জনেরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নোমান শামীম যুবলীগের পক্ষ থেকে সম্মানিত অতিথিদের ও নেতৃবৃন্দদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতীক 'নৌকা' এবং বঙ্গবন্ধুর ছবি ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সম্বলিত লাল সবুজ 'উত্তরীয়' উপহার হিসেবে প্রদান করেন।
সভাপতির বক্তব্যে নোমান শামীম বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপির ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে বাণিজ্য, শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানটি সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে দুইটি কেক কাটা, নৈশভোজ, এবং একটি আহ্বায়ক কমিটি (প্রস্তাবিত) গঠন করার মাধ্যমে শেষ হয়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন