বাংলাদেশি আমেরিকান নিউইয়র্কে মেইনস্ট্রিম মডেল মণিকা হক এবার জিতে নিলেন ‘সিনড্রেলা অফ নিউইয়র্ক ২০২৪’ মুকুট। ১৬৭ দেশের হাজারো অংশগ্রহণকারীকে পেছনে ফেলে মণিকা হক বহুজাতিক সমাজে আবারও ঝলসে উঠালেন বাংলাদেশকে। কারণ, তার নাম উল্লেখ করার সময় প্রতিবারই উচ্চারিত হয় বাংলাদেশের নাম এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বই করছিলেন মনিকা।
এই ব্যতিক্রমি সুন্দরী প্রতিযোগিতাটি মূলত: অনলাইনভিত্তিক, যেখানে ই-মেলের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে পৃথীবির যে কোনো প্রান্তে বসে যে কেউই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। ভোটিং এবং পয়েন্ট অর্জনের মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতায় সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয় এবং ভার্চুয়াল প্রশ্ন-উত্তর, বাচনভঙ্গী উপস্থাপন, হাঁটাচলা, কথাবলা সবকিছুতেই রয়েছে পয়েন্ট। পুরো প্রতিযোগিতাটি পরিচালিত হয়েছে দুবাই থেকে। এই সুন্দরী প্রতিযোগিতার মেইন স্পন্সর ছিল ‘কিলামে’।
প্রথম বাছাই পর্বে ছিল ভার্চুয়াল প্রশ্ন-উত্তর, বাচনভঙ্গী, হাঁটাচলা সবকিছুতেই পয়েন্টস। আর ‘সিনড্রেলা কম্পিটিশন’ আর দশটা কম্পিটিশন থেকে সম্পূর্ণই অন্যরকম। তারপরেও এই প্রতিযোগিতায় মেধাকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়েছে এবং ছিল পয়েন্টস। প্রথম পর্বে কাটছাঁট করে কয়েক হাজার সুন্দরীকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় পর্বে পৌঁছান একশত আটষট্টি সুন্দরী। এরপর শুরু হয় ভোটিং, টানা একমাস ভোটিং চলে। প্রথম তিন সপ্তাহ ভোটিং এ সেরা দশে পৌঁছে যান মণিকা হক।
এরপরে চতুর্থ সপ্তাহের ভোটিং এ টপফোরএ (সেরা চারে) পৌঁছে যান মণিকা। এই পুরো প্রক্রিয়াটি দুবাই থেকেই পরিচালনা করা হয়। এরপর ফাইনাল রাউন্ড আবারো প্রশ্ন-উত্তর। কঠিন প্রশ্ন। এই একশত এক পয়েন্টস এর কঠিন উত্তর দিয়েই হাসিল করেন বিজয়ের মুকুট ‘মণিকা হক ফ্রম বাংলাদেশ’।
কেমন লাগছে জানতে চাইলে মণিকা হক এ সংবাদদাতাকে বলেন, “সবসময়ই সুন্দরীর মুকুট জয় করার অদম্য এক আকাঙ্ক্ষা ছিল। এবার কিলামে সিনড্রেলা সে স্বপ্ন পূরণ করে দিল।’’ প্রিয়দর্শী মণিকা বললেন, ‘‘এর আগে প্রায় সময়ই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের অফার আসত, যেমন মিস নিউইয়র্ক বা মিসেস ইন্টারন্যাশনাল, আবার মিস ব্রঙ্কস অথবা মিস টুরিজম .. কোনো অফারেই কোনো আগ্রহ পাইনি কিন্তু এবার যখন পুরোটাই অন্যরকম রুপকথার গল্পের মত এই আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম, সেটিকে অবজ্ঞা-অবহেলার সুযোগ দেইনি। সেই অফার লুফে নিই, আর ফিলিংস ছিল অসাধারণ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন