সামনের বছরের (২০২৫) জন্যে ৩.৭২ বিলিয়ন ডলারের বাজেট অনুমোদনের মধ্য দিয়ে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনের সমাপ্তি ঘটেছে। চলতি বছরের বাজেট ছিল ৩.৫৯ বিলিয়ন ডলার।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের নিউইয়র্ক এবং জেনেভা অফিস ছাড়াও সদস্য রাষ্ট্রসমূহে রয়েছে আবাসিক অফিস। যুদ্ধ-সংঘাতে লিপ্ত এলাকায় ত্রাণ-কর্মীর পাশাপাশি রয়েছেন স্বেচ্ছাাসেবক। সবগুলোর কর্মচারি-কর্মকর্তার সংখ্যা সোয়া লাখের মত। রয়েছে শান্তিরক্ষা মিশনের ট্রুপস। জাতিসংঘের এই বাজেটের সংস্থান হয় ১৯১ সদস্য রাষ্ট্রের দেয়া অনুদান থেকে। এর সিংহভাগই দেয় যুক্তরাষ্ট্র ২৫%। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বৃহৎ রাষ্ট্র হিসেবে রয়েছে যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান, অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা। বাংলাদেশও এ বছর দিয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার ৮৯ ডলার।
জাতিসংঘ সূত্রে বলা হয়েছে, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবিক উন্নয়ন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সেক্টরে কাজের জন্যে অর্থ ব্যয় করছে জাতিসংঘ। সাথে রয়েছে গণতন্ত্র রাজনৈতিক অভিযাত্রা, আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার নিশ্চিত, সুশাসনে অবদান, আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে সামগ্রিক বিশ্ব পরিস্থিতিতে স্থিতি বজায় রাখার নানা কর্মসূচিও রয়েছে জাতিসংঘের বিভিন্ন ফোরামে। সবচেয়ে দৃশ্যমান অবদান হচ্ছে দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় অঞ্চলে শান্তিরক্ষা মিশনের কার্যক্রম। আর এসব মিশনে এখনো সবচেয়ে বেশি সেনা রয়েছে বাংলাদেশের।
সামনের বছরের বাজেট সংকুলান নিয়ে সন্দেহ-সংশয় দেখা দিয়েছে। কেননা, এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাবস্থায় জাতিসংঘের অনেক কার্যক্রম থেকেই যুক্তরাষ্ট্রকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন। সে ধরনের একটি হুমকি সামনের বছরের বাজেটেও ধাক্কা দিতে পারে বলে কূটনীতিকরা মনে করছেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল