এক বছরের ব্যবধানে চলতি ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহহারা মানুষের সংখ্যা ১৮% বেড়েছে। মার্কিন প্রশাসনের গৃহায়ন এবং নগর উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী স্মরণকালের আর কোন বছরেই এমন পরিস্থিতির অবতারণা হয়নি।
শুক্রবার প্রকাশিত এই তথ্য অনুযায়ী, ৭ লাখ ৭১ হাজার ৪৮০ জন মানুষের স্থায়ী কোন ঠিকানা নেই। তারা রেল স্টেশন, ব্রিজের নিচে, খোলা পার্কে, পরিত্যক্ত ভবনে অথবা জরাজীর্ণ গাড়িতে রাত কাটাচ্ছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরসমূহে বাড়ি ভাড়া আকাশচুম্বি হবার পাশাপাশি বাড়ির দামও বেড়েছে অবিশ্বাস্যভাবে। করোনায় ক্ষত-বিক্ষত মানুষেরা ঘুরে দাঁড়ানোর পরিক্রমায় ফেডারেল সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোন সহায়তা পায়নি।
অপরদিকে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলছে। বাড়ি ভাড়াও বেড়েছে অকল্পনীয় হারে। অথচ বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হয়নি। অধিকন্তু স্বল্প আয়ের মানুষের কর্মঘণ্টাও হ্রাসের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এমনি একটি নিদারুণ পরিস্থিতির মধ্যে হাবুডুবু খাওয়া আমেরিকানদের ঘাড়ে নতুন যন্ত্রণা ভর করেছে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আসা অবৈধ অভিবাসীরা-এমন অভিমতও পোষণ করা হচ্ছে ক্ষোদ বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকেও।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০০৭ সালে গৃহহারা মানুষের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৫৯ হাজার জন। এ বছরের জানুয়ারিতে গৃহহারা শিশু-কিশোরের সংখ্যা ছিল দেড় লাখের মত। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে তা ৩৩% বেশি।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং গাজায় ইসরায়েলি হামলায় লাগাতার অর্থ সহায়তার পরিপ্রেক্ষিতে ট্যাক্স প্রদানকারি আমেরিকানরা নিপতিত হয়েছেন আর্থিক সংকটে-এমন অভিযোগ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবং এটাই হচ্ছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রতি আমেরিকানদের নাখোশের অন্যতম কারণ-যার প্রভাব পড়েছে গত নির্বাচনে। সর্বশেষ জরিপে এ আভাস ফুটে উঠেছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে স্বল্প ও মাঝারি আয়ের আমেরিকানদের নাজুক অবস্থা থেকে উদ্ধারকল্পে গত এক বছর যাবত বাইডেন প্রশাসন রহস্যজনক নিরবতা অবলম্বন করেছে বলে অভিযোগের মধ্যেই সারা আমেরিকায় গৃহহারা মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ করলো ফেডারেল প্রশাসন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন