রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সমালোচনামূলক বিবৃতির জবাবে মিয়ানমার বুধবার বলেছে, এটি বাংলাদেশ থেকে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানকে দেশে ফেরত আনার প্রচেষ্টার জন্যে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। খবর এএফপি’র।
সোমবার সর্বসম্মত এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সামরিক বাহিনীর অভিযান নিয়ন্ত্রণ করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানায়। গত আগস্ট থেকে দেশটির সামরিক বাহিনীর ব্যাপক অভিযানে ছয় লাখেরও বেশী রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যে হত্যাযজ্ঞ, যৌন নির্যাতন চালায় এবং ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয় নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে সে ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
এর আগে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এটিকে সামরিক দমনপীড়ন এবং জাতিগত নিধন হিসেবে বর্ণনা করে। তবে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বলা হয়, রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে তারা এ অভিযান চালিয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতির জবাবে মিয়ানমারের বেসামরিক নেতা অং সান সুচির দফতর জানায়, বিবৃতিতে আসল বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বর্তমানে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ যে সমস্যা মোকাবেলা করছে তা প্রতিবেশী এ দু’দেশের মধ্যে কেবলমাত্র দ্বি-পাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব হতে পারে। বিবৃতিতে এটি পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক আলোচনার ক্ষেত্রে এ বিবৃতি মারাত্মক ক্ষতিকর।
এ চরম সংকট নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টির কয়েক সপ্তাহ পর শরণার্থীদের কিভাবে দেশে ফেরত নেয়া যায় সে ব্যাপারে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু করেছে। তবে এ ব্যাপারে তারা কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি।
বিডি প্রতিদিন/০৮ নভেম্বর ২০১৭/এনায়েত করিম