দিয়েগো ম্যারাডোনা। আর্জেন্টাইন ‘ফুটবল দেবতা’র জন্য হৃদয়ের খুব গভীরে পৃথিবীর তাবত ফুটবলপ্রেমীদের স্থায়ী একটা আসন রয়েছে। তেমনি দিয়েগো ম্যারাডোনার হৃদয়েও অসংখ্য মানুষের নাম লেখা আছে। এদের মধ্যে কেউ ফুটবলার, কেউ মডেল আবার কেউ বা বিপ্লবী। এদের মধ্যে আবার দুজন সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। একজন ফিদেল কাস্ত্রো। অন্যজন চে গুয়েভারা। ম্যারাডোনার ‘জাদুর পা’য়ে ফিদেল ক্যাস্ত্রোর ছবি আঁকা। চে গুয়েভারার ছবি আছে ডান হাতে। আর কারও জন্যই ম্যারাডোনা এতটা যত্ন করে ছবি আঁকাননি নিজের শরীরে। দুজন প্রিয় ব্যক্তিত্বের একজনকে বহু আগেই হারিয়েছেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। এবার প্রিয় বন্ধু ফিদেল কাস্ত্রোকেও হারালেন ম্যারাডোনা। গত শুক্রবার ম্যারাডোনাকে ছেড়ে পরাপাড়ে পাড়ি জমিয়েছেন ফিদেল কাস্ত্রো। ৯০ বছর বয়সে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন কিউবান বিপ্লবের এ মহানায়ক। বেঁচে থাকতে কাস্ত্রো ম্যারাডোনাকে নিয়ে একবার বলেছিলেন, ‘দিয়েগো আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন মানুষ। প্রশ্নাতীতভাবেই বিশ্বের সেরা ক্রীড়াব্যক্তিত্ব।’ কিউবার মানুষের সঙ্গে দিয়েগো ম্যারাডোনার সখ্যতা ফিদেল কাস্ত্রোর জন্যই। তাছাড়া আর্জেন্টিনায় বাম বিপ্লবে কাস্ত্রোর ভূমিকাও কম ছিল না। সব মিলিয়েই দুজন ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সেই দিয়েগো ম্যারাডোনা বন্ধুকে হারালেন চিরদিনের জন্য। ফিদেল কাস্ত্রোর চির বিদায়ের সময়ে ম্যারাডোনা ছিলেন ডেভিস কাপ ফাইনালের গ্যালারিতে। যেখানে আর্জেন্টিনা দল মুখোমুখি লড়াই করছিল ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে। ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যুতে কিউবার ৯ দিনের শোক ঘোষণা করেছে। কিউবানরা হয়ত ৯ দিন পর স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কেউ কেউ হয়তো ভুলেও যাবেন কাস্ত্রোকে। কিন্তু ম্যারাডোনার জন্য কাস্ত্রোকে ভুলে যাওয়ার কোনোদিনই সম্ভব হবে না।