শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

রোনালদোর দিনে নেইমারের হতাশা

ক্রীড়া ডেস্ক

রোনালদোর দিনে নেইমারের হতাশা

দ্বিতীয় গোলের পর রোনালদোর বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। তারই ম্যাজিকে জয় পেয়েছে রিয়াল। ইনসেটে হতাশায় মাঠ ছাড়ছেন নেইমার —এএফপি

স্প্যানিশ কাপ থেকে আগেই বিদায়। লা-লিগায় যে সংকটাপন্ন অবস্থা তাতে এখুনি রিয়াল মাদ্রিদের শিরোপা ধরে রাখার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। এমন করুণ অবস্থায় ফুটবল প্রেমীদের ভাবনা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও বিদায় ঘণ্টা বাজবে রোনালদোদের। এবার জিতলে হ্যাটট্রিক শিরোপায় ইতিহাস লিখে ফেলবে রিয়াল। কিন্তু গ্রুপ পেরিয়ে নক আউটপর্বে তাদের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায় ফর্মে তুঙ্গে থাকা ফ্রান্সের পিএসজি। যেখানে প্রায় প্রতি ম্যাচেই গোল উৎসব করতে দেখা যাচ্ছে নেইমার-কাভানিদের।

প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটা ছিল রিয়ালের নিজেদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাবুতে। তারপরও ফুটবল বিশ্লেষকদের চোখে নেইমাররাই ছিলেন ফেবারিট। তবে লা-লিগায় আগের ম্যাচে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো হ্যাটট্রিক করে সমর্থকদের মনোবল জাগিয়ে তোলেন। বলা হচ্ছিল এমন এক সময় রোনালদো জ্বলে উঠলেন, যা পিএসজির কাঁপন ধরাতে জরুরি ছিল। রোনালদোও প্রমাণ দিলেন তিনি নেইমারদের জন্য প্রস্তুত। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে পিএসজিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের সম্ভাবনাটা ভালোভাবে জাগিয়ে রাখল স্পেনের জায়ান্ট দলটি। এখন পিএসজিকে ঘরের মাঠে কমপক্ষে ৩-০ গোলে জিততে হবে। তা না হলে বিদায়।

ম্যাচ জিতলেও প্রথম গোলটা করেছিল পিএসজি। ৩৩ মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে আদ্রিও রাবিও রিয়ালের জালে বল পাঠালে পুরো গ্যালারি নীরব হয়ে যায়। কিলিয়ান এমবাপের ক্রসে ব্যাকহিল করেছিলেন নেইমার। বল পেয়ে ডান পায়ের শটে গোল করেন ফরাসি এই মিড ফিল্ডার। পাঁচ মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল অতিথিরা। কাভানি সুযোগটি হাত ছাড়া করেন। ম্যাচে অবশ্য প্রথম সুযোগটি এসেছিল রিয়ালেরই। ডি-বক্সের বাইরে থেকে টনি ক্রুসের শর্ট ডানে ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক আলফুঁস।

প্রথমার্ধের শেষের দিকে এসে ম্যাচটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় স্বাগতিকরা। ৪৩ মিনিটে বেনজেমার জোরালো শট কোনোমতে রক্ষা করেন আলফুঁস। দুই মিনিট পরই পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান রোনালদো। পিএসজির সেলসো রিয়ালের ক্রুসকে কাঁধ ধরে ঠেকানোর চেষ্টা করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। রোনালদোর শট রুখতে ঠিক দিকেই ঝাঁপিয়ে ছিলেন আলফুঁস। তবে বল ফেরাতে পারেননি। সমতা ফেরার পর গ্যালারিতে সে কি উল্লাস। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়ালের হয়ে এটি ছিল পর্তুগিজ তারকার শততম গোল। এই মাইলফলক কেউ আর ছুঁতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বড় বাঁচা বেঁচে যায় রিয়াল। পাল্টা আক্রমণে নেইমারের বাড়ানো বল ধরে এমবাপের জোরালো শট কোনোমতে রক্ষা করেন গোলরক্ষক। ৮৩ মিনিটে বুদ্ধিদীপ্ত ফিনিশিংয়ে রিয়ালকে এগিয়ে দেন রোনালদো। প্রথমে সিওর ক্রস পিএসজির গোলরক্ষক ঠেকালেও পরক্ষণই ঠাণ্ডা মাথায় জালে বল পাঠান রোনালদো। ৮৬ মিনিটে রিয়ালের জয় নিশ্চিত করেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্সেলো।

সর্বশেষ খবর