ফুটবলে মেয়েরাই সাফল্যের পতাকা উড়াচ্ছে। গতকালও আরেকটি শিরোপা নিজেদের করে রেখেছে মারিয়ারা। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী বাছাই পর্বে বাংলাদেশ ২-০ গোলে ভিয়েতনামকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এই পর্ব পেরুতে পারলেই মারিয়ারা চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নেবে। গতবার এএফসি-১৬ ফুটবলে চূড়ান্ত পর্বে খেলেছিল বাংলাদেশ। এবার পথটা কঠিন হয়ে পড়েছিল। গ্রুপের টানা তিন ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতলেও পয়েন্ট ও গোল পার্থক্য সমান হয়ে যায় ভিয়েতনামের সঙ্গে। সবকিছু সমান হলেও কম কার্ড দেখার সুবাদে ভিয়েতনাম টেবিলে শীর্ষে অবস্থান নেয়। গতকাল যদি ম্যাচ ড্র হতো তাহলে কম কার্ড অর্থাৎ শৃঙ্খলার বিবেচনায় ভিয়েতনামই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতো। বাংলাদেশকে তখন অপেক্ষা করতে হতো বেস্ট গ্রুপ রানার্সআপ হয় কিনা। এখন চ্যাম্পিয়ন হয়েই বাংলাদেশ দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলবে। কচি বয়সের মেয়েরা ৯০ মিনিটের ম্যাচ খেলেছে। কী দম ও গতি দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। গত এক বছরে মেয়েরা হয় চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে না হয় রানার্সআপ। কোনোভাবেই ব্যর্থ নয় তারা। অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। অন্যদিকে পুরুষ জাতীয় দল ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী। এশিয়ান গেমসে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে কি কি আলো দেখালেও তা নিভে যায় ঘরের মাঠে সাফে ব্যর্থতায়। টানা চার আসরে মামুনুলরা সাফে সেমিফাইনাল খেলতে পারছে না। এর চেয়ে বড় হতাশা আর কী হতে পারে। একটা ব্যাপার লক্ষণীয় যে পুরুষ জাতীয় দলের কোনো টুর্নামেন্টে ভরাডুবি ঘটলে মেয়েরাই শিরোপা জিতে জামালদের জ্বলে উঠার পথ দেখিয়ে দেয়। কিন্তু কোনো কিছুতেই লাভ হচ্ছে না। কিছুদিন পরই ঘরের মাঠে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে অংশ নেবে। সাফে ব্যর্থতার পর স্বাভাবিকভাবে মনোবলে চির ধরেছে। এখন অনুপ্রেরণা হিসেবে মারিয়াদের সাফল্য ভালো কিছু করার পথ দেখাতে পারে। কিন্তু পুরুষ ফুটবল ঘিরে আশা ছেড়েই দিয়েছে ক্রীড়াপ্রেমীরা। যত আশা ও ভরসা মারিয়াদের নিয়েই। ৯০ মিনিটে অর্ধেক লড়াইয়ে মামুনুলরা যেখানে দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম। সেখানে কিনা মেয়েদের লড়াকু মনোভাব দেখে মনে হয় ১৮০ মিনিটও তাদের দমাতে পারবে না। অন্ধকারে পড়ে থাকা পুরুষদের বার বার আলোর পথ দেখাচ্ছে মারিয়ারা। কিন্তু লাভ হচ্ছে না। তাহলে বাংলাদেশের ফুটবল কি এখন পুরোপুরি মেয়েদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে? এটা কী সুসংবাদ হতে পারে। যত কথাই বলি না কেন ফুটবলে পুরুষ জাতীয় দল জ্বলে না উঠলে সেই দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ভবিষ্যৎ অন্ধকারই বলা যায়।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে