বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

মাঠে ফিরলেন তাসকিন

‘অনেকদিন পর বোলিং করেছি। শুরুতে জড়তা ছিল। আশা করি ঠিক হয়ে যাবে।’

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মাঠে ফিরলেন তাসকিন

বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করেননি নির্বাচক প্যানেল। দল চূড়ান্ত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার। গতকাল নির্বাচকদ্বয় গভীর মনোযোগে খেলা দেখেছেন ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদের। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার ক্রিকেটের একাদশ রাউন্ডে মুখোমুখি হয়েছিল লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ এবং উত্তরা স্পোর্টিং। প্রথম পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রাখতে জয়ের বিকল্প ছিল না রূপগঞ্জের। সেই সমীকরণে ৯ উইকেটের বড় জয় ঘরে তুলে শীর্ষস্থানটি অক্ষুণœœ রেখেছেন নাইম ইসলাম, মোহাম্মদ নাইম, মেহেদি মারুফরা। তবে ম্যাচের মূল ফোকাসে ছিলেন জাতীয় দলে ‘স্পিড স্টার’ তাসকিন। ইনজুরি কাটিয়ে প্রায় আড়াই মাস পর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেট খেলতে নামেন ডান হাতি ফাস্ট বোলার। ফেরার ম্যাচে বল হাতে আলো ছড়াতে না পারলেও বোলিং করেছেন দুই স্পেলে মাত্র ৫ ওভার। ৩৬ রান দিলেও উইকেট ছিল না একটিও। তাসকিন আহত হন ১ ফেব্রুয়ারি। বিপিএলে সিলেট সিক্সার্সের হয়ে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ম্যাচে গোড়ালী ব্যথা পেয়েছিলেন। আহত হওয়ার আগে ২ ওভারের স্পেলে ১০ রানের খরচে উইকেট নিয়েছিলেন ১টি। এরপর মাঠের বাইরে চলে যান তাসকিন। এই লম্বা বিরতিতে রিহ্যাব করে নিজেকে ফিট করেছেন। বিসিবির ডাক্তারের পরামর্শেই গতকাল খেলতে নামেন। তবে বোলিংয়ে ছন্দ ছিল না, গতি ছিল না। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের তুলনায় শর্ট বল করেছেন অনেক বেশি। কাল বোলিংয়ে আসেন ৪ নম্বর বোলার হিসেবে। বোলিংয়ে আসেন ইনিংসে ১০ম ওভারে। ফিরে আসা ম্যাচের প্রথম বলেই বাউন্ডারি খেয়ে বসেন তাসকিন। পরের চার বলে কোনো রান না দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো তাসকিন শেষ বলে ফের বাউন্ডারি খান। দ্বিতীয় ওভারে দুটি সিঙ্গেল দিয়ে রান দেন ২ রান। তৃতীয় ওভারে দুটি ‘নো’ সহ রান দেন ৪। চার নম্বর ওভারে একটি ছক্কা ও একটি চারসহ রান দেন ১১। ৪ ওভারের স্পেলে রান দেন ২৫। অধিনায়ক নাইম তাকে সরিয়ে নেন বোলিং থেকে। তাসকিন দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে আসেন ৪১ নম্বর ওভারে। ওই ওভারে একটি বাউন্ডারিসহ রান দেন ১১। এরপর আর বোলিং করেননি। ফেরার ম্যাচে তাসকিনের স্পেল ৫-০-৩৬-০। আড়াই মাস পর বোলিং করে ভালো লাগার কথা বলেন তাসকিন, ‘অনেকদিন পর বোলিং করেছি। শুরুতে জড়তা ছিল। আশা করি ঠিক হয়ে যাবে।’  ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। গতির মিশেলে দুরন্ত বোলিং করেছিলেন তাসকিন। এবারও বাংলাদেশের অন্যতম ভরসার নাম ছিলেন এই ফাস্ট বোলার। কিন্তু ইনজুরিতে পড়লে শঙ্কা জাগে। গতকাল ম্যাচে পারফর্ম করতে পারেননি। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ছিল বিশ্বকাপের আগে তার ম্যাচে ফেরা এবং প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলা। এই সমীকরণে শতভাগ সফল তাসকিন। এখন শুধু নিজেকে প্রমাণ করা এবং নির্বাচক প্যানেলের আস্থা অর্জন করা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর