শিরোনাম
শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
ফাইনালে ফিলিস্তিনের সঙ্গী বুরুন্ডি

জামালদের স্বপ্নভঙ্গ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

জামালদের স্বপ্নভঙ্গ

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার আহ্বানে হাজার দশেক দর্শক এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশ-বুরুন্ডি ম্যাচে দারুণ ফুটবল উপহার দেওয়ার কথা দিয়েছিলেন জামাল। কিন্তু দর্শকরা হতাশ হয়েই ঘরে ফিরলেন। বার বার সুযোগ পেয়েও গোল মিস করেছে বাংলাদেশ। বিপরীতে কাউন্টার আক্রমণে গোল হজম করেছেন জেমি ডের শিষ্যরা। একে একে তিনটি গোল করেন শিমিরিমানা। প্রথমার্ধে দুটি এবং দ্বিতীয়ার্ধে আরও একটি। ৩-০ গোলের পরাজয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিতেই থামতে হলো বাংলাদেশকে। শিরোপা জয়টা স্বপ্নই থেকে গেল লালসবুজদের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের নায়ক মতিন মিয়া ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই মাংসপেশিতে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন। এরপর বাংলাদেশের পক্ষে গোল করার দায়িত্ব সুফিলের কাঁধে চাপে। কিন্তু তিনি বার বারই ব্যর্থ হন। অন্তত ছয়টা গোলের সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। শিমিরিমানা ম্যাচের ৪২, প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে এবং ৮০ মিনিটে তিনটি গোল করেন। এই নিয়ে টুর্নামেন্টে তার গোল হলো ৭টি। ফাইনাল নিশ্চিত করে দারুণ আনন্দিত বুরুন্ডি। কোচ এবং ম্যাচসেরা ফুটবলার সংবাদ সম্মেলনে এসে বলে গেলেন, ট্রফি জিতেই বাড়ি ফিরতে চায় বুরুন্ডি। অন্যদিকে হতাশ বদনে সংবাদ সম্মেলনে এলেন বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ জেমি ডে। তিনি বললেন, ‘আমরা এতগুলো সুযোগ পেলাম, কিন্তু কোনো গোল করতে পারলাম না। এটাই ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দিয়েছে।’ মতিন মিয়া ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই মাঠ ছাড়ায় অনেকটা সমস্যা হয়েছে বাংলাদেশের। অবশ্য টুর্নামেন্ট জুড়েই ইনজুরি সমস্যায় ভুগেছে দলটা। প্রধান স্ট্রাইকার জীবন ছিলেন না শুরু থেকেই। গতকাল ছিলেন না তপু ও ইয়াসিন। সবমিলিয়ে হতাশাতেই শেষ হলো বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। গতকাল দর্শকরা এসেছিলেন অনেক আশা নিয়ে। তারাও ঘরে ফিরলেও হতাশায়। শেষটায় তাদেরকে জার্সি আর ব্যান্ডানা উপহার দিয়ে কিছুটা হলেও সন্তুষ্ট করতে চেয়েছিলেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া।

গোলের বর্ণনা

বুরুন্ডি ১-০

৪২ মিনিটে গোল করেন শিমিরিমানা। ডি বক্সের ডান প্রান্ত থেকে গ্যাবোনজিজার ক্রসে বল পেয়ে কোনাকুনি শটে গোল করেন শিমিরিমানা। ডিফেন্ডার রায়হান সামনে থেকেও পাসিংয়ে বাধা হতে পারেননি।

বুরুন্ডি ২-০

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ডি বক্সের ডান প্রান্ত থেকে পাস দেন গ্যাবোনজিজা। হেডে দারুণ এক গোল করেন শিমিরিমানা। গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা অনেকটা লাফিয়েও সেভ করতে ব্যর্থ হন।

বুরুন্ডি ৩-০

৮০ মিনিটে গোল করার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে কাউন্টার আক্রমণে লম্বা পাসে বল পেয়ে ডি বক্সের ভিতরে ডান পাশ থেকে গোল করেন শিমিরিমানা। গোলরক্ষক রানার হাতের নিচ গলে বল জালে জড়ায়। হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন বুরুন্ডির তরুণ এ ফুটবলার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর