বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

টপ চারের একি হাল!

ক্রীড়া প্রতিবেদক

টপ চারের একি হাল!

এক, দুজন নয়। উপরের চার ব্যাটারই পুরোপুরি ব্যর্থ। বাংলাদেশের প্রথম চার ব্যাটার সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক ব্যাট হাতে এতোটাই ব্যর্থ ছিলেন, যার খেসারত গুনেছে গোটা দল। চট্টগ্রাম টেস্টে পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনে জিতেছে বাবর আজমের পাকিস্তান। কিন্তু প্রথম তিনদিন ম্যাচে সমানে সমানে লড়াই করেছে টাইগাররা। শুধুমাত্র উপরের চার ব্যাটারের ব্যর্থতায় হেরেছে ৮ উইকেটে। টেস্টে চার ব্যাটার ৮ ইনিংসে একত্রে রান করেছেন মাত্র ‘৬৭’! সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ১৮ এবং দুটি রয়েছে শূন্য রানের ইনিংস। উপরের সারির ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় প্রথমবারের মতো সাদা পোশাকে লাল বলে খেলার জন্য ডাক পেয়েছেন ২ ওয়ানডে ও ৩২ টি-২০ খেলা মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ৪-৮ ডিসেম্বর মিরপুরে শুরু দ্বিতীয় টেস্টে শুধু নাঈম শেখ নন, নেওয়া হয়েছে সাকিব আল হাসান ও তাসকিন আহমেদকে। ইনজুরির জন্য সাকিব ও তাসকিন খেলেননি চট্টগ্রাম টেস্ট।        

চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাটিংয়ে ঔজ্জ্বল্যতা ছড়িয়েছেন চাপে থাকা লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। দুজনে পঞ্চম উইকেট জুটিতে রেকর্ড ২০৬ রান যোগ করেন। লিটন ১১৪ ও মুশফিক ৯১ রান করেন। সাইফ ও সাদমান উদ্বোধনী জুটিতে স্কোর বোর্ডে যোগ করেন মাত্র ১৯ রান। শুধু দুই ওপেনারই নন, তিন ও চারে খেলা নাজমুল শান্ত ও টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হকও ফিরেন স্কোর বোর্ডে ৪৯ রান যোগ হতেই। সাদমান, সাইফ ও নাজমুল তিনজনেই রান করে ১৪ করে। মুমিনুল ফিরেন ৬ রান। প্রথম ইনিংসে চার ব্যাটের মোট রান ৪৮। চার ব্যাটার সাজঘরে ফিরেন দলীয় ১৯, ৩৩, ৪৭ ও ৪৯ রানে। প্রথম চার ব্যাটারের ব্যর্থতাকে সামলে নেন লিটন ও মুশফিক। দ্বিতীয় ইনিংসে চার ব্যাটারের পারফরম্যান্স আরও যাচ্ছেতাই। দুই ওপেনার বিচ্ছিন্ন হন দলীয় ১৪ রানে। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে সাদমান, পঞ্চম বলে সাজঘরে ফিরেন নাজমুল শান্ত। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে মুমিনুল ও ১১ নম্বর ওভারের প্রথম বলে আউট হন সাইফ। চার ব্যাটারের মধ্যে সাইফ ১৮, সাদমান ১ এবং নাজমুল ও মুমিনুল আউট হন শূন্য রানে। চার ব্যাটারের একত্রিত রান ১৯। সাজঘরে ফিরেছেন ১৪, ১৪, ১৫ ও ২৫ রানে।

টাইগারদের প্রথম চার ব্যাটসম্যান ব্যর্থ পুরোপুরি। অথচ একই উইকেটে দুই ইনিংসেই শতরানের জুটি গড়েছেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার আবিদ আলি ও আব্দুল্লাহ শফিক। প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫১ রান করেন। ম্যাচসেরা আবিদ দুই ইনিংসে রান করেন ১৩৩ ও ৯১ এবং শফিক ৫২ ও ৭৩ রান করেন। মিরপুরে টেস্ট শুরু ৪ ডিসেম্বর। ওই টেস্টে ওপেনারদ্বয়ের মধ্যে যে কোনো একজনকে বসে থাকতে হবে সাজঘরে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর