রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের অপেক্ষা

মিরপুরে বাংলাদেশ ভারত মুখোমুখি

মেজবাহ্-উল-হক

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের অপেক্ষা

ছবি : রোহেত রাজীব

রোহিত শর্মা শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এসে হয়তো খানিকটা অবাকই হয়েছেন। যেদিকে তাকাচ্ছেন প্রতিটি বিল্ডিংয়ে পত্পত্ করে উড়ছে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের পতাকা। ক্রিকেট নিয়ে এদেশের মানুষের উন্মাদনার কথা তার অজানা নয়। এবার ফুটবল নিয়েও উন্মাদনাটা আঁচ করতে পারলেন খানিকটা। অবশ্য এখন গোটা বিশ্বই জেনে গেছে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল নিয়ে বাংলাদেশের মাতামাতির কথা। যে বিষয়টি নিয়ে স্বয়ং আর্জেন্টিনা কোচ কাতারে প্রেস কনফারেন্সে বাংলাদেশের মানুষকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। ফিফা তাদের অফিসিয়াল ফ্যান পেজে বাংলাদেশের সমর্থকদের ভিডিও আপলোড করেছে।

তবে ক্রিকেটের উন্মাদনা আছে বলে ক্রিকেট নিয়ে যে কারও আগ্রহ নেই তা কিন্তু নয়। সেটা গতকাল দুপুরে টিকিট কাউন্টারের সামনে মাইলখানেক লম্বা দীর্ঘলাইন দেখেই বোঝা গেছে। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের গেটেও ছিল বেশ ভিড়। টিকিটের জন্য মানুষের কী হাহাকার।

বাংলাদেশ-ভারত লড়াই বলে কথা। সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে আকর্ষণীয় লড়াই। বেশ কিছুদিন থেকেই বিষয়টি লক্ষণীয়, এই প্রতিবেশী দুই দেশের লড়াই মানেই শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই। সেটা গত টি-২০ বিশ্বকাপেও দেখা গেছে। দুই দল যেখানেই লড়াই করেছে, তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। সে কারণেই ফুটবল বিশ্বকাপের মধ্যেও ক্রিকেট নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের এই উন্মাদনা।

সামনের বছরই ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ। স্বাগতিক ভারত এখন থেকেই তাদের দল গোছানোর কাজে নেমে গেছে। সেখানে পুরো শক্তির দল নিয়েই তারা বাংলাদেশে এসেছে।

টি-২০ বিশ্বকাপের পর পরই তারা নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছিল। সেখানে সেরা দলটি ছিল না। রোহিত, কোহলি খেলেননি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করার জন্য এসেছে ভারত। সে কথা গতকাল প্রেস কনফারেন্সে অকপটে স্বীকার করেছেন রোহিত, ‘কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ ভারত লড়াই রোমাঞ্চকর হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতি ম্যাচেই আমাদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে হয়েছে। গত সাত-আট বছরের বাংলাদেশ দল আলাদা। তারা খুবই চ্যালেঞ্জিং। কোনো ম্যাচেই আমরা সহজে জিততে পারিনি। তাদের বিপক্ষে জিততে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’

এই সিরিজে বাংলাদেশ সেরা দুই ক্রিকেটারকে পাচ্ছে না। গ্রো-ইন ইনজুরির কারণে খেলতে পারছেন না নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সেরা পেসার তাসকিন আহমেদের ব্যাক পেইন। তারপরও ভারতের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য মুখিয়ে আছে বাংলাদেশ।

অধিনায়ক হিসেবে নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন লিটন দাস। প্রথম অ্যাসাইনমেন্টেই বাজিমাত করে দিতে চান এই তারকা। লিটন বলেন, ‘আমি সত্যিই রোমাঞ্চিত, বড় একটা সিরিজে আমাকে অধিনায়ক করা হয়েছে। চেষ্টা করব আমার যতটুকু সামর্থ্য আছে, তা দেখানোর। প্রত্যেকেরই জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন থাকে। আর সবচেয়ে বড় স্বপ্ন দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া।’

তবে এই দায়িত্বকে চাপ হিসেবে দেখছেন না লিটন। তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে যখন খেলি, তখন যে দায়িত্ব থাকে, অধিনায়ক হিসেবে একটি দায়িত্বই থাকবে, সবাইকে গাইড করার। এর চেয়ে বেশি কিছু না।’

নতুন দায়িত্বে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মতো সিনিয়রদের পাশে পাচ্ছেন লিটন। এখন দেখার বিষয়, নতুন অধিনায়কের নেতৃত্বে কেমন করে বাংলাদেশ!

সর্বশেষ খবর