সাইড স্ট্রেইনের জন্য মাঠে নামেননি রংপুর রাইডার্সের নিয়মিত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। তার অনুপস্থিতিতে রংপুরকে নেতৃত্ব দেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিক। গতকাল চট্টগ্রাম পর্বে রংপুর নিজেদের চার নম্বর ম্যাচ খেলতে নামে দলের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার সোহানকে ছাড়া। শোয়েবের নেতৃত্বে খেললেও বড় ব্যবধানে হেরেছে খুলনা টাইগার্সের কাছে। ৪ ম্যাচের আগের তিনটিতে হেরেছিল খুলনা। এটিই খুলনার প্রথম জয়। রংপুরের চার ম্যাচে দ্বিতীয় হার। খুলনাকে আসরের প্রথম জয় উপহার দিতে দুর্দান্ত বোলিং করেন পাকিস্তানের বাঁ হাতি পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ৪ ওভারে ১৪ রানের খরচে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরাও হয়েছেন পাকিস্তানি পেসার। খুলনাকে ৯ উইকেটের বড় জয় উপহার দেন টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল দারুণ ব্যাটিংয়ে। ৬০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মাত্র ৪৭ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায়। গতকাল বড় জয়ে প্রতিশোধও নিয়েছে খুলনা। শুক্রবার চট্টগ্রামে দুই দলের প্রথম মুখোমুখিতে রংপুর রাইডার্স ৪ উইকেট হারিয়েছিল খুলনাকে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ১২৯ রান করে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন রংপুর। ইনিংস শুরুর দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন দলের নিয়মিত পারফরমার রনি তালুকদার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ইমন ও নাঈম চেষ্টা করেন ধাক্কা সামলাতে। কিন্তু ওয়াহাব রিয়াজের সাঁড়াশি আক্রমণে বেসামাল হয়ে পড়ে রংপুরের ব্যাটিং লাইন। ইমন ২৫ রান করেন ২৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায়। সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন মেহেদি হাসান। ৩৪ বলের ইনিংসটিতে ছিল ২টি করে চার ও ছক্কা।
এদিকে বিপিএলে টানা পাঁচ ম্যাচ জেতার পর প্রথম হারের মুখ দেখেছে মাশরাফির সিলেট স্টাইকার্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান সংগ্রহ করে সিলেট। পেরেরা ৪৩ ও ইমাদ ওয়াসিম ৪০ রান করেন।
সিলেটের ছুড়ে দেওয়া ছোট লক্ষ্যেই ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের দেখা পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। ব্যাট হাতে ৪২ বলে ৭০ রানের ঝড় ইনিংস খেলেন লিটন। মাশরাফি ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচ করে নেন দুই উইকেট। এটি কুমিল্লার টানা দ্বিতীয় জয়। বিপিএলে এখন আর কেউ অপরাজিত নেই।
রংপুর রাইডার্স : ১২৯/১০, ২০ ওভার
খুলনা টাইগার্স : ১৩০/১, ১৮.২ ওভার
ফল : খুলনা টাইগার্স ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা : ওয়াহাব রিয়াজ (৪/১৪)।
