ফুটবলে সাফল্য নিয়ে এসেছেন বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা। গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করেছেন সাবিনা খাতুনরা। বয়সভিত্তিক দলগুলো সফলতা এনেছে আরও আগেই। বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা একের পর এক সফলতা বয়ে আনলেও ছেলেদের তুলনায় সুযোগ-সুবিধার দিক দিয়ে অনেকটা পিছিয়ে ছিল। বসুন্ধরা গ্রুপ ও এবিজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর কথা দিয়েছিলেন নারী ফুটবলের পাশে দাঁড়াবেন। কথা রেখেছেন তিনি। গতকাল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সায়েম সোবহান আনভীরের বাসভবনে এবিজি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তিন বছর মেয়াদি চুক্তি শেষ হবে ২০২৫ সালে। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সায়েম সোবহান আনভীর ও বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কিরণ বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ সত্যিকার অর্থে স্পোর্টস লাভার। তা না হলে আজকের (গতকাল) এ চুক্তিটা হতো না। আনভীর ভাই (বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান আনভীর) অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সংবর্ধনা দিতে গিয়ে তিনি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা বাস্তবায়ন করলেন।’ বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ একটি ক্রীড়া পরিবার। ক্রীড়ার উন্নয়নে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এবং তাঁর সন্তানরা পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। এই গ্রুপ বাংলাদেশের খেলাধুলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভালো কিছু অর্জন করার একটা মিশন নিয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপের সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি ফুটবল নিয়ে ভাবেন। তাই বাফুফের সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপ আছে এবং থাকবে।’ বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ তাঁর বক্তব্যে বসুন্ধরা গ্রুপ ও এবিজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, ডেইলি সান সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, বাংলা নিউজের সম্পাদক জুয়েল মাজহার, নিউজ২৪-এর নির্বাহী সম্পাদক রাহুল রাহা, টি স্পোর্টসের সিইও ইশতিয়াক সাদেক, এবিজির উপদেষ্টা মোস্তফা আজাদ মহিউদ্দিনসহ বাফুফে, বসুন্ধরা কিংস ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কর্মকর্তারা।