সফরকারী নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলকে হোয়াইটওয়াশের হাতছানি ছিল। ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি ৭ উইকেটে জিতেছিল নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ‘এ’। সোহানবাহিনী দ্বিতীয়টিও জিতেছে ৮৭ রানে। গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। ম্যাচটি হাতছানি দিচ্ছিল সফরকারী কিউই ‘এ’ দলকে হোয়াইটওয়াশ করার। সেটা হয়নি। উল্টো ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১০ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে হেরেছে টাইগার ‘এ’ দল। এখন দুই দল প্রস্তুতি নেবে দুটি চার দিনের ম্যাচ খেলার।
টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছিল সোহান বাহিনী। একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে স্বাগতিকরা। টস হেরে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ ‘এ’ ৪৭.৪ ওভারে ২২৬ রানে অলআউট হয়। সফরকারী বোলারদের সাঁড়াশি আক্রমণে শুরু থেকে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েন সোহানরা। একপর্যায়ে ১০৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। সেখান থেকে বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ দলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। আট নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করে ৯৭ বলে ৯ চার ও এক ছক্কায় ৬৭ রান করেন। অবশ্য তার আগে সিরিজে প্রথমবার সিরিজে খেলতে নামা ইয়াসির আলি খেলেন ৬৩ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস। ৬৭ বলের ইনিংসটিতে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। সফরকারীদের ভারতীয় বংশো™ভূত লেগ স্পিনার আদিত্য অশোক ৩ উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের বেঁধে ফেলেন। ২টি করে উইকেট নেন বেন লিস্টার, জেয়ডন লেনক্স ও ডিন ফক্সক্রফট। টার্গেট ২২৭ রান। ১০ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতলেও নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের কোনো ব্যাটারই পঞ্চাশ রানের ব্যক্তিগত কোনো ইনিংস খেলতে পারেননি। ম্যাচ সেরা ফক্সক্রফট বোলিংয়ে ২ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে ৪৩ বলে অপরাজিত ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি ও জাকারে ফোকস ৬৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন সপ্তম উইকেট জুটিতে। জাকারে অপরাজিত ছিলেন ২৮ রানে।