ইতিহাস বদলাতে পারেনি পাকিস্তান। গতকাল আবারও ভারতের কাছে হেরে গেছে ৭৬ রানে। বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ষষ্ঠ হার এটি। বিশ্বকাপে পাকিস্তান-ভারত প্রথম অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে। ৯২-র পর ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৩ এবং ২০১১ সালের বিশ্বকাপে হেরেছিল পাকিস্তান। সব আসরেই ভারতীয় দলে ছিলেন গ্রেট শচীন টেন্ডুলকার। কিন্তু শচীন অবসর নেওয়ায় এবার উজ্জীবিত ছিল পাকিস্তান। ইতিহাস বদলে দিতে চেয়েছিলেন অধিনায়ক মিসবাহ্-উল হক। কিন্তু পারলেন কই! উল্টো কালো অধ্যায়টা আরও বড় হয়ে গেল।
আর কালকের ম্যাচে মাঠে শচীন টেন্ডুলকার স্বশরীরে না থাকলেও ছায়া হয়েছিলেন ঠিকই। এখন বিরাট কোহলিই তো ভারতের 'নতুন' টেন্ডুলকার। ভারতীয় ব্যাটিং জিনিয়াস নিজেই বলেছেন, তিনি নাকি কোহলির মধ্যে নিজেকে খুঁজে পান। যদিও আচরণে শচীনের সঙ্গে কোহলি পার্থক্য আকাশ-পাতাল, তবে খেলার ধরনে দারুণ মিল। তাই আগের পাঁচ শচীনের জন্য পাকিস্তানি বোলাররা তটস্থ থাকলেও কাল তাদেরকে ভোগান্তিতে ফেলেছিলেন কোহলি।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দারুণ একই জয়ের পর নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে কোহলি বলেন, 'এটা আমার ক্যারিয়ারে অন্যতম সেরা ইনিংস। দারুণভাবে আমাদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হলো। পাকিস্তানের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে জয় দিয়ে আসর শুরু করতে পারায় অনেক ভালো লাগছে। আমি যতক্ষণ উইকেটে ছিলাম চেষ্টা করেছি। পরাজয়কে আমি সবসময় ঘৃণা করি। গত কয়েক দিন আমাদের সমর্থকরা কঠিন সময় পার করেছে। আমরা একের পর হেরেই যাচ্ছিলাম। তাই এই জয়ের পর অনেক ভালো লাগছে।' এমন জয়ে অভিভূত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিও। তিনি বলেন, 'এখানে আমাদের ব্যাটিং পারফরম্যান্সটা অসাধারণ ছিল। প্রথমে ব্যাটিং করলে বোঝা যায় না ঠিক কত রান হলে তা নিরাপদ। তারপরেও ৩০০ রান করার পর মনে হয়েছে, ম্যাচ আমরাই জিতব। কোহলির ইনিংসটা অসাধারণ। মিডল অর্ডারে সে ধাওয়ান ও রায়নার সঙ্গে দুটি সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়ে। এই দুই জুটিই আমার বড় সংগ্রহের ভিত। তাছাড়া এখানে আমাদের অনেক সমর্থক আছে। তারা যেভাবে আমাদেরকে সমর্থন দিয়েছে, সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ।'
অন্যদিকে মর্যাদার লড়াইয়ে হারের পর পাকিস্তান অধিনায়ক কাউকে দোষারোপ না করলেও ভারতের প্রশংসা করেছেন ঠিকই। পাক দলপতি বলেন, 'সত্যিই অসাধারণ খেলেছে ভারত। ব্যাটিং ৩০০ রান করার পর বোলিং দারুণ করেছে ওরা। তবে মিডল অর্ডারে দ্রুত দুই তিনটা উইকেট পড়ে যাওয়ায় আমরা ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ি। তবে এ নিয়ে আমি এখন আর ভাবছি না। আমি তাকিয়ে আছি পরের ম্যাচের দিকে।'