হাবিবুল বাশার সুমনকে এক সময় বলা হতো 'মি. ফিফটি'। ব্যাট হাতে মাঠে নামলেই অনায়াসে করে ফেলতেন হাফ সেঞ্চুরি। দলের বড় স্কোরে যা কার্যকরী ভূমিকা পালন করত। অনেক ম্যাচে দেখা যেত সবাই ব্যর্থ, কিন্তু বাশার ঠিকই একটা হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন। এখন মুশফিকুর রহিমও সেই কাজটাই করছেন। ২২ গজে নামলেই মুশফিকের ব্যাটে রানের ফুলঝুড়ি! বর্তমানে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান। শেষ পাঁচ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি দুটি হাফ সেঞ্চুরি। মুশফিক এখন টাইগারদের আস্থার প্রতীক। দলের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রধান কারিগরও কিন্তু এই মুশফিকই। যদিও টানা দুই সেঞ্চুরি করা মাহমুদুল্লাহর আলোয় কিছু ম্লান হয়েছিলেন। কিন্তু মুশি ছয় ম্যাচে করেছিলেন তিন হাফ সেঞ্চুরি। বাকি তিন ম্যাচেও তার রান ছিল দুই অঙ্কের কোটায়। বিশ্বকাপে মুশফিকের ছয় ইনিংস যথাক্রমে ৭১, ৩৬, ৬০, ৮৯, ১৫, ২৭। তবে বিশ্বকাপে না পারলেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ঠিকই দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন।
মুশফিককে বিপদের বন্ধুও বলা যায়। কেননা অধিকাংশ সময় দল যখন দ্রুত উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছে ঠিক তখনই দাঁড়িয়ে যান উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। তাছাড়া মুশফিক এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি আক্রমণাত্দক ব্যাটিং করে থাকেন। শেষ পাঁচ ম্যাচের তিনটিতেই তার স্ট্রাইকরেট ১০০র উপরে।
যেকোনো দলে মিডল অর্ডারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই জায়গায় উইকেট ধরে রেখে ইনিংস লম্বা করতে হয়। তাই অনেক সময় স্ট্রাইকরেট কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকা। কিন্তু এক্ষেত্রে মুশি আলাদা। তিনি প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর আক্রমণ করে খেলতেই পছন্দ করেন।
যেকোনো প্রতিপক্ষ দল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে মুশফিককে প্রধান টার্গেট করে রাখেন। কেননা বাংলাদেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান তিনি। পাকিস্তানি বোলাররাও ভিডিও দেখে মুশফিকের বিভিন্ন দুর্বলতা বের করে তাকে আটকে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু সবই ব্যর্থ হয়েছে। মুশফিক ঠিকই সেঞ্চুরি আদায় করে নিয়েছেন। আজকের ম্যাচেও জুনায়েদ-আজমলের প্রথম টার্গেট থাকবে দ্রুত মুশফিকের উইকেট নেওয়া।