২৬ জুলাই, ২০১৭ ০২:১০

প্রযুক্তির ব্যবহারকে স্বাগত জানালেন ম্যারাডোনা

অনলাইন ডেস্ক

প্রযুক্তির ব্যবহারকে স্বাগত জানালেন ম্যারাডোনা

ফাইল ছবি

বেশ কয়েক বছর ধরে প্রযুক্তির ব্যবহার খেলার অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্য খেলার মতো ফুটবলও পিছিয়ে নেই। ফুটবলেও এসে গেছে গোললাইন প্রযুক্তি। এবার আসতে চলেছে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (‌ভিএআর)‌ পদ্ধতি।  ফুটবলে এই নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারকে স্বাগত জানিয়েছেন দিয়াগো ম্যারাডোনা।

ফিফার বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায় এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। সর্বশেষ এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল রাশিয়ায় কনফেডারেশন কাপে।। যদিও ম্যারাডোনা স্বীকার করে নিয়েছেন, ৩১ বছর আগে ১৯৮৬ বিশ্বকাপে এই ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি পদ্ধতি থাকলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে করা তার বিতর্কিত গোলটি বাতিল হয়ে যেত। 

ফুটবলে প্রযুক্তির ব্যবহার প্রসঙ্গে ম্যারাডোনা বলেন, "সব খেলাতেই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে, ফুটবলও পিছিয়ে থাকতে পারে না। আমরা কেন ফুটবলে প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা ভাববো না?‌’ অনেকেই মনে করছেন প্রযুক্তির ব্যবহার করলে সময়ের অপচয় হবে। ‌সময়ের অপচয় হলেও প্রযুক্তির ব্যবহার খেলায় স্বচ্ছতা নিয়ে আসবে।"

ফুটবলের রাজপুত্র আরও বলেন, "‌কোনও সিদ্ধান্ত দেওয়া উচিত ছিল না, অথচ দেওয়া হয়েছে। কোনও ন্যায্য গোল যদি বাতিল করা হয়, তাহলে মানুষ রেগে যাবে। যদি প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়, তাহলে খেলায় স্বচ্ছতা থাকবে ও গুণগত মান অনেক ভাল হবে।" 

১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই বিতর্কিত গোলের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "যদি ওই সময় প্রযুক্তির ব্যবহার করা হত, তাহলে আমার গোলটা দেওয়া হত না। ১৯৯০ বিশ্বকাপে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে হাত দিয়ে গোল লাইন থেকে বল বাঁচিয়েছিলাম। আমরা ভাগ্যবান যে রেফারি দেখতে পাননি।"

রেফারির ভুলে ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ জিতেছিল বলে দাবি করেছেন ম্যারাডোনা। তার কথায়, "‌১৯৬৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের জিওফ হার্স্টের দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রে বল গোল লাইন না পার হওয়া সত্ত্বেও রেফারি গোল দিয়েছিল। ২০১০ বিশ্বকাপে জার্মানির বিরুদ্ধে ল্যাম্পার্ডের শট গোল লাইন পার হলেও রেফারি গোল দেননি। জার্মানি আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়ে পুরো বদলে গিয়েছিল। প্রযুক্তি থাকলে কিন্তু এগুলো হত না।"

 

বিডি-প্রতিদিন/ ২৫ জুলাই, ২০১৭/ তাফসীর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর