হজরতউল্লাহ জাজাইয়ের টর্নেডো ইনিংসে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে বড় সংগ্রহের পর বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে সহজ জয় তুলে নিয়েছে সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস। শনিবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের ১৯০ রানের জবাবে ৮৩ রানের বড় ব্যবধানে হারে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার সুনীল নারাইন ও প্রথমবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলতে আসা হজরাতুল্লাহ জাজাইয়ের টর্নেডো ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত শুরু পায় ঢাকা। শেষের দিকে শুভাগত হোমের ঝরে ১৮৯ রানের বড় সংগহ পায় ঢাকা।
মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটে পরে ব্যাট করা দলের জন্য ১৯০ রানের টার্গেট বেশ কঠিনই বল যায়। ব্যাটিংয়ে নেমে ধীরস্থিরভাবেই এগিয়েছে রাজশাহীর দুই ওপেনার মুমিনুল হক ও মোহাম্মদ হাফিজ। কিন্তু মুমিনুলকে ফিরিয়ে ২৪ রানের জুটি ভাঙেন সাকিব। ৫ বলে ৮ রান করে মিজানুর রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুমিনুল। সৌম্য সরকারও ফেরেন অল্প রানেই। আন্দ্রে রাসেলের বলে উইকেটের পেছনে কাজী নুরুল হাসান সোহানের দুর্দান্ত এক ক্যাচে মাত্র ৩ বলে ৪ রান করে ফেরেন সৌম্য।
ওপেনার হাফিজের সঙ্গে মিলে লোওরি ইভান্স কিছুটা সময় চেষ্টা করলেও বেশিদূর এগোতে পারেননি। ১৩ বলে ১০ রান করে সাকিবের হাতে রান আউট হয়ে ফেরেন। ২ রান করে রুবেল হোসেনের বলে ফেরেন জাকির হাসান।
এক প্রান্ত আগলে থেকে অনেকটা সময় রাজশাহীকে এগিয়ে নেন হাফিজ। তবে শেষ পর্যন্ত রুবেলের কাছে পরাস্থ হয়ে ২৮ বলে ২৯ রান করে উইকেটের পেছনে সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার।
হাফিজের বিদায়ের পর আর কেউই বেশি সময় উইকেটে থিতু হতে পারেননি রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা। তবে শেষের দিকে আরাফাত সানি ও পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ব্যবধান কিছুটা কমান। সানি ১৭ বলে ১৮ রান করে আউট হলেও ১৩ বলে ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন মুস্তাফিজ। তবে শেষ পর্যন্ত রাজশাহীকে থামতে হয় ১০৬ রানে।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই বাঁহাতি জাজাই ও সুনিল নারাইনের ১১৬ রানের জুটিতে উড়ন্ত সূচনা পায় ঢাকা। ৪১ বলে ৭ ছক্কা ও চারটি চারে ৭৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন তরুণ আফগান ওপেনার জাজাই।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দ্রুত ফিরেন কাইরন পোলার্ড, সাকিব ও নুরুল হাসান সোহান। ২০ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ঢাকা। কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় রাজশাহী।
তবে অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে আন্দ্রে রাসেলের সঙ্গে ২৮ বলে ৫৩ রানের জুটিতে দলকে দুইশ রানের কাছে নিয়ে যান শুভাগত হোম চৌধুরী। এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার ১৪ বলে করেন ৩৮ রান। রাসেল ১৯ বলে করেন ২১ রান।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম