রিংয়ে লড়াই করে খ্যাতি অর্জনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। পেশাদার বক্সিংয়ে মাত্র তিন বছরে সাফল্যের শিখর পৌঁছেছিলেন। কিন্তু মাত্র ২৮ বছর বয়সেই থেমে গেল রাশিয়ান বক্সার ম্যাক্সিম দাদাশেভের লড়াই।
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে গত শুক্রবার জুনিয়র ওয়েল্টারওয়েট গ্রুপে দাদাশেভের লড়াই ছিল সুব্রিয়েল মাতিয়াসের বিরুদ্ধে। বাউটে মাথায় বেশ কয়েকবার চোট লেগেছিল রাশিয়ান এই প্রতিশ্রুতিময় বক্সারের। রিংয়ের মধ্য অসুস্থবোধ করায় ট্রেনার ফাইট থামাতে বাধ্য হন। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ব্রেনে আঘাত লাগার জেরে কোমায় চলে যান দাদাশেভ। কিন্তু রিংয়ের বাইরে তার লড়াই বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। গত মঙ্গলবার মৃত্যু হয় রিংয়ে হার না মানা এই বক্সারের।
গতকাল বুধবার রাশিয়ান বক্সিং ফেডারেশনের তরফে দাদাশেভের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। রাশিয়ান বক্সিং ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি উমর ক্রিমলেভ জানান, ‘ম্যাক্সিমের সঙ্গে কী ঘটেছিল, তার সত্যতা আমাদের জানতে হবে। এ ব্যাপারে ফেডারেশন তদন্ত করবে। ওর মৃত্যুতে কারোর দোষ রয়েছে কিনা, জানার চেষ্টা করা হবে।’
জুনিয়র ওয়েল্টারওয়েট গ্রুপে এই বাউট চলে ১১ রাউন্ড পর্যন্ত। বাউট চলার মধ্যেই মাথায় বেশ কয়েকবার আঘাত পান রাশিয়ান এই বক্সার। তার ট্রেনার বাডি ম্যাকগ্রিট লড়াই থামিয়ে দিতে বলেন। ম্যাকগ্রিটের অনুরোধে রেফারি খেলা থামিয়ে যান। স্ট্রেচারে ড্রেসিংরুমে আনার পথে বমি করেন দাদাশেভ। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ইউএম প্রিন্স জর্জ হসপিটাল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অস্ত্রোপচারও করা হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।
সেন্ট পিটার্সবার্গে জন্ম হলেও ম্যাক্সিম থাকতেন ক্যালিফোর্নিয়ায়। ২০০৮ সালে বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে ৫৭ কেজি বিভাগে রুপো জেতেন দাদাশেভ। এরপর ২০১০ ও ২০১২ সালে রাশিয়ার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ৬০ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ জেতেন তিনি। ২০১৩ সালে রাশিয়ার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ৬৪ কেজি বিভাগে রুপো জেতেন ম্যাক্সিম।
তবে দাদাশেভের পেশাদার বক্সিংয়ে লড়াই শুরু হয় ২০১৬ সালে। অভিষেক থেকে দুরন্ত ছিলেন তিনি। পেশাদার সার্কিটে ১৪টি বাউটের মধ্যে ১৩টি জেতেন ম্যাক্সিম। এর মধ্যে ১১টিতে জয় পান টেকনিক্যাল নক-আউটে। গত বছর জুনে এনএবিএফ সুপার লাইটওয়েট খেতাব জেতেন। কিন্তু ২০১৯-এ মাত্র ২৮ বছর বয়সে থেমে গেল দাদাশেভের লড়াই।
বিডি-প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ