জুয়াড়ির কাছ প্রস্তাব পাওয়ার পর তা না জানানোর কারণে আইসিসির শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে, এর আগেও এমন প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। তখন অবশ্য বিষয়টি জানিয়েছিলেন বলে শাস্তির মুখে পড়তে হয়নি তাকে।
স্পট ফিক্সিংয়ের অফার পাওয়ার তথ্য লুকানোর অভিযোগে আইসিসি’র তরফ থেকে তার বিরুদ্ধে ১৮ মাসের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও আপিল করলে সেটা ৬ মাসেও নেমে আসতে পারে। বিষয়টা এমন ভারত সফরে এখন সাকিবের বিকল্প ভাবতে হবে বিসিবির।
অথচ এর আগেও সাকিব এমন অফার পেয়েছিলেন এবং সেবার সাকিব জুয়াড়ির প্রস্তাব পাওয়ার কথা প্রকাশও করেছিলেন। এটা ২০১০ সালের ঘটনা। সাকিব ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছিলেন। ঘটনাটি ঘটে ২০০৮ সালের মার্চে। সাকিব তখনও অধিনায়ক হননি। ওই সময় ঢাকায় আইরিশদের বিপক্ষে এক ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচে বাজে পারফর্ম করার বদলে সাকিবকে ‘স্পন্সরশিপ’র অফার দিয়েছিল এক অচেনা জুয়াড়ি। পরে সাকিব বিষয়টি নিয়ে বিসিবি এবং আকসু’র কাছে রিপোর্ট করেছিলেন।
সেই সাকিব এবার ফিক্সিংয়ের তথ্য গোপন করবেন, বেশ অবাক করার মতো বিষয়ই বটে। অনেক ভক্তের কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, গোপন করলেও এতদিন পরে তথ্য ফাঁস করল কে এবং কেন? যে বা যারা তথ্য প্রকাশ করলেন তারা আগে কেন জানালেন না? এসব প্রশ্নের উত্তর হয়ত পাওয়া যাবে শিগগিরই।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব