দুই বছর আগে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েছিলেন জুয়াড়িদের কাছ থেকে। কিন্তু তা গোপন রেখেছিলেন আইসিসির অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিটের (আকসু) কাছে। এ তথ্য গোপন করার অভিযোগে টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে সব ধরনের ক্রিকেটে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার শাস্তি পেয়েছেন আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালার তিনটি আইন লঙ্ঘন করার অপরাধে। বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সব কটি দায় মেনে নিয়েছেন। যদি নিষেধাজ্ঞার সময় শাস্তির সব বিধিনিষেধ মেনে চলেন, তাহলে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন সাকিব।
তবে এই নিষেধাজ্ঞার কারণে সাকিবের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চুক্তি বাতিল হচ্ছে। জাতীয় দলের শীর্ষ গ্রেডে মাসিক ৪ লাখ টাকা করে পারিশ্রমিক পেতেন সাকিব। কেন্দ্রীয় চুক্তি বাতিল হলে সেই ভাতা পাবেন না তিনি।
এদিকে, নিষেধাজ্ঞার সময়ে সাকিবের স্বীকৃত কোনো প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে খেলার সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে বাতিল হয় বোর্ডের চুক্তিও। আইসিসির নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার দিন (২৯ অক্টোবর) থেকেই বোর্ডের সঙ্গে সাকিবের চুক্তি বাতিল হওয়ার কথা রয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা আসেনি।
বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ডিসেম্বরে। ২ মাস আগেই সাকিব চুক্তির বাইরে ছিটকে গেছেন। বিসিবির বর্তমানে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রয়েছেন ১৮ জন ক্রিকেটার।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম