ঘরের মাঠে জুভেন্টাস ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ছাড়া মাঠে নেমতে হয়েছিল। তবে দলের সেরা তারকাকে ছাড়া সুবিধা করে উঠতে পারেনি দলটি। বার্সার কাছে হেরে গেছে তারা। যদিও ভাগ্যও সঙ্গ দেয়নি তাদের। তিন তিনবার বল জালে জড়িয়েও গোলের দেখা পায়নি দলটি। কেননা তিনটি গোলই অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেন রেফারি।
বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ-জি'তে তুরিনোয় নিজেদের মাঠে বার্সেলোনা মুখোমুখি হয় জুভেন্টাসের।
ম্যাচ শুরুর ৩ মিনিটেই লিড নিতে পারত বার্সেলোনা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেয়া মিরালেম পিয়ানিচের শট ঠেকিয়ে দেন জুভেন্টাসের গোলকিপার সেজনি। ফিরতি বলে গ্রিজম্যানের শট বারে লেগে ফিরে আসে।
তবে এ ঘটনার ১০ মিনিট পর গোলবার আর বাঁচাতে পারেনি জুভেন্টাসকে। মেসির লম্বা করে বাড়ানো পাসকে ডি বক্সের বাইরে থেকেই শট নেন উসমানে দেম্বেলে। আর তা জুভেন্টাসের জারে জড়িয়ে যায়।
কিন্তু পরের মিনিটেই সেই গোল শোধ করে দেন মোরাতা। যদিও অফসাইডের কারণে সেই গোল বাতিল করে দেন রেফারি। ২৯ মিনিটে ফের সফল হন মোরাতা। ফের বার্সেলোনার জালে বল জড়ান তিনি। আর সেখানেও আবার বিধিবাম। এবারও অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। গোল শোধে মরিয়া জুভেন্টাসের খেলোয়াড়রা একের পর এক আক্রমণ করে যায়। ৩৩ মিনিটে আলবার একটি শটও গোলপোস্টের পাশ ঘেঁষে বাইরে দিয়ে চলে যায়।
এভাবেই ১-০তে বিরতিতে যায় দুদল। যদিও অফসাইডের ফাঁদে না পড়লে এই স্কোরলাইন ১-২ হতে পারত।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমে সেই অফসাইডের দুর্ভাগ্য পোহাতে হয় জুভিদের। এবারও ট্র্যাজিক হিরো সেই মোরাতা। ম্যাচের ৫৭ মিনিটের মাথায় কোয়াদরাদোর পাস থেকে বল পেয়ে ফের বার্সার জালে বল জড়ান মোরাতা। এবার ভিএআরে (ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি) গোলটি বাতিল হয়। তৃতীয়বারও অফসাইডে ছিলেন জুভেন্টাস তারকা।
ম্যাচের ৬১ মিনিটের সময় মেসির নেয়া একটি শট গোলপোস্টের খুব কাছে দিয়ে চলে যায়। ৭৪ মিনিটেও গোলবঞ্চিত হয় বার্সেলোনা। মেসির অসাধারণ পাসকে গোলে পরিণত করতে পারেননি ফ্রেঞ্চ তারকা গ্রিজম্যান।
শেষ পর্যন্ত তুরিনের অ্যালিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে বার্সেলোনার কাছে ০-২ গোলের ব্যবধানে হেরে যায় জুভেন্টাস। বার্সার হয়ে গোল পেয়েছেন উসমান দেম্বেলে ও লিওনেল মেসি।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত