টি-টোয়েন্টির পর এক দিনের ক্রিকেটের নেতৃত্ব থেকেও সরানো হয়েছে বিরাট কোহলিকে। তবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে নেতৃত্ব ছাড়ার কথা নিজেই জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এক দিনের ক্রিকেটের ক্ষেত্রে তেমনটা হলো না। ভারতীয় বোর্ডের পক্ষে জানানো হয়েছে সাদা বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে রোহিত শর্মাকে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা যায়, কোহলিকে নেতৃত্ব ছাড়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিল বোর্ড। কিন্তু অধিনায়কত্ব ছাড়তে রাজি ছিলেন না তিনি। এরপরেই বোর্ডের পক্ষ থেকে ঘোষণা করে দেওয়া হয় নতুন অধিনায়কের নাম।
ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (বিসিসিআই) এমন সিদ্ধান্তের পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে। বিরাট-অনুরাগীরা বিসিসিআইকে দুষছেন। এবার অধিনায়কত্ব ইস্যুতে মুখ খুললেন বিসিসিআইয়ের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই বিরাট কোহলি জানিয়ে দিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরেই তিনি এই ফরম্যাটে আর নেতৃত্ব দেবেন না দেশকে। সেই সময় বোর্ডের পক্ষ থেকে কোহলিকে নেতৃত্ব না ছাড়ার কথা বলা হয়েছিল। কারণ সাদা বলের ফরম্যাটে দু’জন অধিনায়কের থিওরিতে বিশ্বাসী ছিল না বোর্ড। বিসিসিআই’র সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি তেমনটাই বলছেন রোহিতের হাতে ওয়ানডের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার পরে।
দেশটির সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌরভ বলেন, ‘বিসিসিআই এবং নির্বাচকরা একযোগে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ঘটনা হলো, বিসিসিআই সেই সময়ে বিরাটকে অনুরোধ করেছিল টি টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে নেতৃত্ব যাতে না ছাড়ে। কিন্তু সেই সময়ে কোহলি তা মেনে নেয়নি। সেই সময়ে নির্বাচকরা স্থির করেছিলেন সাদা বলের দুই ফরম্যাটে দু’জন অধিনায়ক রাখা হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ তখন স্থির হয় টেস্টে নেতৃত্ব দেবে কোহলি। আর রোহিত সাদা বলের ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেবে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি ব্যক্তিগতভাবে বিরাট কোহলির সঙ্গে কথা বলি। নির্বাচকদের চেয়ারম্যানও কথা বলেন।’
এদিকে, কোহলির হাত থেকে ওয়ানডের নেতৃত্ব কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে বিরাট-অনুরাগীরা ক্ষুব্ধ হন। সবাই অবশ্য এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নয়। অনেকেই প্রশংসা করেছেন। সমালোচনা যারা করেছেন, তাদের বক্তব্য একটাই, বিরাট কোহলির হাত থেকে যেভাবে ওয়ানডের নেতৃত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তা ঠিক নয়। কোহলিকে সরিয়ে রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত নিয়ে গোটা দেশ যখন তোলপাড়, ঠিক তখনই সৌরভ বিতর্ক দূর করলেন।’
বিডি প্রতিদিন/এমআই