পাহাড় রত্নদের বরণে মানুষের ঢল নেমেছিল। পাহাড়ি-বাঙালির মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল রাঙামাটি মারি স্টেডিয়াম।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় রাঙামাটি ঘাগড়া ইউনিয়ন থেকে রাজকীয়ভাবে মোটরসাইকেল র্যালি করে মারি স্টেডিয়ামে নিয়ে আসা হয় পাঁচ ফুটবল নারী তারকাকে।
তারা হলেন-রূপনা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা, আনাই মগিনী ও আনাই চিং মগিনী। সম্প্রতি নেপালকে হারিয়ে বাংলাদেশের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর তাদের একনজর দেখার প্রহর গুনছিলেন পাহাড়বাসী। অবশেষে পাহাড়ের মানুষের অপেক্ষার অবসান হলো। ঘরে ফিরেছেন পাহাড়ের বাঘিনীরা।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক ও পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষে থেকে আয়োজন করা হয় গণসংবর্ধনার। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অং সুই প্রু চৌধুরী, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান ও রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মীর মো. আবু তৌহিদ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে পাঁচ নারী ফুটবল তারকাকে দেওয়া হয় ২ লাখ টাকা করে ১০ লাখ টাকা।
এছাড়া রাঙামাটি জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় নগদ অর্থসহ বিভিন্ন উপহারসামগ্রী।
অনুষ্ঠানে রাঙামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেন, পার্বত্যাঞ্চলের দুর্গম প্রত্যন্ত উপজেলা থেকে পাঁচ ফুটবল তারকা উঠে এসেছে। এটা সত্য আমাদের জন্য গর্বের। দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় পার্বত্যাঞ্চল ভৌগোলিক দিক দিয়ে ভিন্ন। এখানকার ভাষা কৃষ্টি, সংস্কৃতি সবকিছু ভিন্ন। ভিন্ন এখানকার জীবনধারা। পিছিয়ে পড়া জাতিগোষ্ঠীরা দেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছে। এর চেয়ে আনন্দের আর কী আছে। এ পাঁচ তারকার পথচলা এখানে শেষ নয়। তাদের আর বহুদুর এগিয়ে নিতে সরকারের পক্ষ থেকে নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ