পুঁজি মাত্র ১২২ রানের। এরপরও সেই পুঁজিকেই যথেষ্ট করে তুললেন বোলাররা। ওমানের ব্যাটিং গুঁড়িয়ে বড় ব্যবধানে জিতল যুক্তরাষ্ট্র। এতে প্রায় চার দশকের পুরোনো রেকর্ড ভেঙে দিল তারা। রেকর্ড-কীর্তি হলো আরও কয়েকটি। মাসকাটে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ লিগ ২-এর ম্যাচে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের জয় ৫৭ রানে। ১২২ রানের পুঁজি নিয়ে ওমানকে ৬৫ রানে গুটিয়ে দেয় তারা। ছেলেদের পূর্ণাঙ্গ ওয়ানডেতে (যেখানে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমেনি) এত কম রানের পুঁজি নিয়ে জিততে পারেনি আর কোনো দল।
এতদিন রেকর্ডটি ছিল ভারতের। ১৯৮৫ সালের মার্চে শারজাহতে চার দলের টুর্নামেন্টে তারা ১২৫ রানের পুঁজি নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতেছিল ৩৮ রানে। বল হাতে যুক্তরাষ্ট্রের জয়ের নায়ক নস্তুশ কেজিগে। বাঁহাতি এই স্পিনার ৭.৩ ওভারে ১১ রানে নেন ৫ উইকেট। ম্যাচের সেরা যদিও তিনি নন। ব্যাটিংয়ে দলের সর্বোচ্চ ৮২ বলে ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পর হাত ঘুরিয়ে ২ উইকেট নিয়ে পুরস্কারটি পান অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মিলিন্দ কুমার।
আল আমেরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডের উইকেট এতটাই স্পিন সহায়ক ছিল যে এই ম্যাচে দুই দলের কেউই কোনো পেসারকে দিয়ে একটি বলও করায়নি! ওয়ানডে ইতিহাসে কোনো পূর্ণাঙ্গ ম্যাচে এমন ঘটনা এটিই প্রথম। ওমান তো টানা দুই ম্যাচে কোনো পেসার ব্যবহার করেনি। আগের ম্যাচে নাবিবিয়াকে ৯৬ রানে অল আউট করতে ৩৩.১ ওভারের সবগুলো করেন তাদের পাঁচ স্পিনার মিলে। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৩৫.৩ ওভারের সবগুলোও করেন ওই পাঁচ স্পিনার।
যুক্তরাষ্ট্র-ওমান ম্যাচে একটি রান আউট ছাড়া বাকি ১৯ উইকেট নিয়েছেন স্পিনাররা। কোনো ওয়ানডে ম্যাচে স্পিনারদের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার যৌথ রেকর্ড এটি। ২০১১ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচেও স্পিনাররা মিলে নিয়েছিল ১৯ উইকেট, একটি উইকেট নিয়েছিলেন পেসার শফিউল ইসলাম। ওমানের ইনিংসে দুই অঙ্কে যেতে পারেন কেবল হামাদ মির্জা (২৯)। শূন্য রানে আউট হন চার জন। কেজিগের ৫টি, মিলিন্দের ২টি ছাড়া লেগ স্পিনার ইয়াসির মাহমুদও নেন ২টি উইকেট, বাঁহাতি স্পিনার হারমিত সিং একটি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ