কমে গেছে আইফোনের চাহিদা। অর্থবছরের দ্বিতীয় চতুর্ভাগে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১০ লাখ হ্যান্ডসেট কম বিক্রি করেছে অ্যাপল। তবে সর্বশেষ ও দামি ভার্সন আইফোন সেভেন প্লাসের চাহিদার কারণে আয় বেড়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
গত মঙ্গলবার অ্যাপলের প্রতিবেদন অনুযায়ী কোয়ার্টারটি আইফোন সেট বিক্রি ৫১.২ মিলিয়ন থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৫০.৮ মিলিয়নে। বিশ্লেষকরা ধারণা করেছিলেন, গত ১ এপ্রিল শেষ হওয়া অর্থবছরের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে সেট বিক্রি হবে ৫২.২ মিলিয়ন।
যদিও সেট কম বিক্রি হয়েছে, তবে উচ্চমূল্যের আইফোন সেভেন প্লাসের চাহিদার কারণে প্রতিষ্ঠানটির আয় না কমে উল্টো বেড়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই কোয়ার্টারে আইফোনের গড় বিক্রয়মূল্য ৬৪২ ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫৫ ডলারে।
আইফোন সেভেন প্লাসের কারণে প্রতিষ্ঠানটির আয় এক শতাংশ বেড়ে ৩৩.২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আইফোন সেভেনের তুলনায় নতুন ও উন্নত ক্যামেরা ফিচারের জন্য এই সেটটির চাহিদা বেশি বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
অ্যাপল সিইও টিম কুক আইফোন সেভেন প্লাসের চাহিদাকে অকল্পনীয় উল্লেখ করে বলেন, অ্যাপলের ধারণাই ছিল না যে কত মানুষ এই বড় ফোনটাকে পছন্দ করবে।
তিনি বলেন, আইফোন সেভেন প্লাসের চাহিদার সঙ্গে যোগানের ভারসাম্য আনতে আমাদেরকে কিছুটা বেগ পেতে হয়। অনেকটা সময়ও লেগে যায়।
কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত বছরের ঠিক এই কোয়ার্টারে এসে আইফোনের বিক্রি কমে গিয়েছিল। এরপর সেপ্টেম্বরে আইফোন সেভেন বাজারে আসলে আবার ভারসাম্য আসে আইফোন বিক্রিতে। কোম্পানি গত দুই জেনারেশন থেকে ডিজাইনে খুব বেশি পরিবর্তন আনেনি, কিন্তু ডুয়াল (দু'টি) লেন্স ফিচারটির কারণে আকারে বড় ও দামি ফোনটি লাখো মানুষের নজর কাড়ে। সূত্র:সি-নেট ডট কম
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ