চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ঝুঁকিপূর্ণ অপ্রয়োজনীয় একটি টিনশেড বিপদ বাড়াচ্ছে। টিনশেডটি স্থাপন করা হয় চলাচলের পথে। এ কারণে রোগী ও স্বজনদের অনাকাক্সিক্ষত বিপদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হতে এসে উল্টো অনেককেই বিপদে পড়তে হচ্ছে।
করোনাকালে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশেই চলাচলের জায়গায় হাত ধোয়ার দুটি বেসিন স্থাপন করা হয়। বৃষ্টি থেকে রক্ষায় বেসিনের ওপর দেওয়া হয় টিনশেড। কিন্তু সেটি অপেক্ষাকৃত নিচু। এ জায়গা দিয়েই রোগী ও স্বজনরা জরুরি বিভাগ থেকে বহির্বিভাগে যাতায়াত করে। কিন্তু রোগী নিয়ে দৌড়াদৌড়ির সময় অসাবধানতাবশত একেবারে মাথার ঠিক ওপরে থাকা টিনশেডে ধাক্কা খাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ইতোমধ্যে অনেকেই এটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে আঘাত পেয়েছেন। সম্প্রতি হাসান মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী টিনশেডের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মাথা ফাটান। হাসান মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন বলেন, আমি জরুরি বিভাগ থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথে টিনশেডের সঙ্গে ধাক্কা খাই। এতে আমার কপাল ফেটে যায়। অল্পের জন্য চোখটি রক্ষা পায়। তখনই আমি আবার জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য যাই। তখন চিকিৎসককে বিষয়টি জানালে তিনি জাস্ট বললেন, ‘ভ্যারি স্যাড’। তিনি বলেন, রোগীরা হাসপাতালে আসে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হতে। এখন উল্টো অপ্রয়োজনীয় একটি টিনশেডে ধাক্কা খেয়ে অসুস্থ হতে হচ্ছে। অথচ বেসিনটি দীর্ঘদিন ধরেই অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, এখন করোনার প্রকোপ নেই। তাই বেসিন দুটিও এখন আর ব্যবহার হচ্ছে না। এগুলো খুলে ফেলা হবে। এটার সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে দুর্ঘটনার খবরও আমরা শুনেছি।