চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূলে সরব গোলাম হোসেন। ইতিমধ্যে নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে গোলাম হোসেন নৌকার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তিনি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুনে শুভেচ্ছামূলক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে দলীয় আওয়ামী লীগের প্রার্থিতার পূর্বাভাস দিয়েছেন। এ ছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কে হচ্ছেন তা নিয়ে ভোটাররাও চায়ের টেবিলে ঝড় তুলছেন। নির্বাচনকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে চলছে নানা রকম জল্পনা-কল্পনা। আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী গোলাম হোসেন ইতিমধ্যে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন টানিয়ে নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
নিজ জন্মভূমি কচুয়ার মানুষের কাছে তার পরিচিতি ‘এনবিআর চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন’ হিসেবে। এনবিআরে থাকার সময় তিনি দক্ষতায় প্রশমিত ছিলেন। নিজের প্রচেষ্টায় বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতায় নিজ গ্রাম হাশিমপুরকে একটি আদর্শ ও মডেল গ্রামে রূপ দিয়েছেন, আধুনিক নাগরিক জীবনের প্রায় সব সুযোগ-সুবিধা যেখানে বিদ্যমান। এখন স্বপ্ন দেখেন পুরো কচুয়া উপজেলাকে হাশিমপুরের আদলে গড়ে তুলতে। কচুয়া উপজেলার হাশিমপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মিঞা বাড়ির সন্তান মো. গোলাম হোসেন। তার পিতা মরহুম মো. রফিউদ্দিন মিঞা, মা মরহুমা বেগম জিন্নাতুন্নেসা। ১৯৫৫ সালের ৯ জানুয়ারি তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের এই মেধাবী শিক্ষার্থী ১৯৯২ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে ২০১৫ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেন। এর মাঝে তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব ও উপ-সচিবসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। এনবিআরের সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েই সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হন। অবশ্য সরকারি চাকরিতে থাকা অবস্থাতেই এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখেন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রায় সব প্রভাবশালী মন্ত্রী তার গ্রাম কোনো না কোনো সময়ে সফর করেছেন। তার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়া, জনপ্রতিনিধি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা, কচুয়াকে নিয়ে তার স্বপ্ন প্রভৃতি বিষয়ে সোজা কথায় বলতে গেলে দীর্ঘদিন সরকারি চাকরি করায় জনগণের সঙ্গে তার একটা নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তখন থেকেই মানুষের কল্যাণে কাজ করতে আগ্রহী হন।
নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী গোলাম হোসেন বলেন, আমার নিজের প্রচেষ্টায় এবং বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতায় আমার নিজ গ্রামে ড. মনসুর উদ্দিন মহিলা কলেজ, ফয়জুন্নেছা দাতব্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছি। এলাকার উন্নয়ন করতে গিয়ে আমি সাধারণ মানুষের আরও অনেক কাছাকাছি আসার সুযোগ পেয়েছি। আমি মনে করি, নিরস্ত্র জনগণ অনেক শক্তিশালী। জনগণের জন্য কিছু করার তাগিদ থেকেই আমি রাজনীতি ও জনপ্রতিনিধি হওয়ার চেষ্টায় আছি। এই প্রচেষ্টায় সফল হলে কচুয়া থেকেই নতুন ধারার রাজনীতির প্রচলন শুরু হবে। যেখানে সাধারণ মানুষ ও জনপ্রতিনিধি একযোগে অংশীদারিত্বের সঙ্গে এলাকার রাজনীতি, সমাজ ও উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আমি পরিবর্তনের রাজনীতি চাই, অংশীদারিত্বের রাজনীতি চাই। গদবাধা রাজনীতি চাই না। আমি আওয়ামী লীগ করি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করি। জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী আমি। নেত্রী বলেছেন, জনগণ যাকে চায় তাকে মনোনয়ন দেবেন। আমি বিশ্বাস করি, জনগণ যাকে চাইবে সে-ই মনোনয়ন পাবেন এবং নির্বাচিত হবেন। জনবিচ্ছিন্ন কেউ নির্বাচিত হতে পারবেন না কচুয়ায়। এমন কেউ নির্বাচিত হবেন না, হতে দেওয়া হবে না।