৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা দ্রুতসময়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা। বুধবার বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে ‘৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পরীক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত বিবৃতি পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মো. সোহাগ হোসেন।
এসময় তিনি বলেন, বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের প্রায় ৫ মাস অতিবাহিত হওয়া, রিটেন পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করে তা পিছিয়ে দেওয়া এবং আরও বিভিন্ন উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে তারা অত্যন্ত হতাশাগ্রস্ত।
লিখিত বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা যারা ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারিতে অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছি, তারা স্বপ্নের পেছনে লেগেছি অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়ে। কেউ প্রেগন্যান্সির কঠিন সময়ে পরীক্ষার বইকে সঙ্গী করেছে, কেউ চাকরির স্থায়িত্ব ত্যাগ করে, আবার কেউ সরকারি চাকরির নিশ্চয়তা পেছনে ফেলে বেছে নিয়েছে নতুন চ্যালেঞ্জ। ডাক্তারদের কেউ এফসিপিএসে ভর্তির সুযোগ পেয়েও ত্যাগ করেছে, যেন এই রিটেন পরীক্ষার জন্য আরও একটু সময় দিতে পারে। এই যে আত্মত্যাগ, এই যে প্রত্যাশা-এই প্রচেষ্টাকে কীভাবে মুছে ফেলা যায়?’
সংবাদ সম্মেলনে পরীক্ষার্থীরা দাবি করেন, গণমাধ্যমে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৬৪ ধারায় দেওয়া পিএসসির কর্মচারীর জবানবন্দি যদি সত্য হয়, তবে জড়িতদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। যেন ন্যায্য বিচার হয়, যাতে তাদের পরিশ্রমের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকে, বাতিল নয়, বরং দ্রুত লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হোক যাতে প্রতিটি পরীক্ষার্থী তাদের স্বপ্নের পথে এগিয়ে যেতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, ‘নতুন কমিশন যদি মনে করেন, স্বচ্ছতার স্বার্থে আবার তদন্ত হওয়া দরকার, আমরা সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। প্রশ্নফাঁসের তদন্ত করে করে যদি প্রমাণ পায়, তবে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হোক। কোনো পরিশ্রমী ও সৎ পরীক্ষার্থীরা যেন এই নতুন বাংলাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, এমন ব্যবস্থা করবেন বলে আশা রাখি।’
সেই সাথে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের প্রতি দ্রুততম সময়ে ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তারা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই