ভাদ্রের তালপাকা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মাঝে মধ্যে আকাশে মেঘের ভেলা ভেসে বেড়ালেও বৃষ্টির দেখা নেই রংপুরে। তবে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সাথে ঝড়ো বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এমন গরমে বাসার বাইরে শিশুদের অযথা না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিশু চিকিৎসকরা।
নগরী ঘুরে দেখা গেছে, অনেকটাই অতিষ্ঠ জনজীবন। রোদের তাপে সকলেই একটু ছায়ার জন্য পাগল। অনেকে মসজিদে নামাজ শেষে মেঝেতেই শুয়ে পড়ছেন ক্লান্তি কাটানোর জন্য। ডাব-কোমল পানীয় জাতীয় পণ্যের কেনাবেচা বেড়েছে। প্রকৃতির রুদ্ররূপে চলাফেরা ও কাজকর্ম করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। ছায়ায় দাঁড়িয়েও শরীর থেকে ঘাম বের হচ্ছে।
সড়কের পাশে অটোরিকশা চালক আব্দুল মতিন বলেন, নিচ থেকে আসছে সড়কের তাপ আর উপর থেকে আসছে সূর্যের তাপ। দুইয়ে মিলে জীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এমন গরম হলে সড়কে টেকাই মুশকিল।
এদিকে গরমের প্রভাবে বিক্রি বেশি হচ্ছে কোল্ড ড্রিংক্স, জুস ও স্যালাইন। গরমের কারণে দুপুরের রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ক্রেতার সমাগম নেই বললেই চলে।
রংপুরে গত বছরে এই সময় গড় তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৫ ডিগ্রির মধ্যেই ওঠানামা করছিল। এবার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে দুই ডিগ্রি। বুধবার দুপুর তিনটায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, তাপমাত্রা বাড়লেও দুই-একদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই