বিশ্বের যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি বিমান দুর্ঘটনা ঘটে তার মধ্যে নেপাল অন্যতম। এখানকার আবহাওয়া এবং বিমানবন্দর এমন যে শুধু সেরা পাইলটরাই বিমান চালাতে পারেন। মাত্র এক বছর আগে নেপালে এক বড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে পোখরায় অবতরণের সময় একটি টার্বোপ্রপ বিমান ভেঙে পড়ে। এতে ৭২ জন নিহত হয়। ১৯৬২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এখানে ৭৩ বড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে ৯৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নেপালে বিমান দুর্ঘটনার ইতিহাস রয়েছে। হিমালয়ের ওপর অবস্থিত এই দেশটি তার প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য পরিচিত। তবে পাইলটদের জন্য এটা খুবই চ্যালেঞ্জ। উঁচু পাহাড় এবং গভীর উপত্যকা পাইলটদের কাজকে কঠিন করে তোলে। আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তন এবং উচ্চতায় থাকার কারণে বাতাসের ঘনত্ব কম হওয়ার কারণেও সমস্যা তৈরি হয়।
নেপালে বাতাসের দিক এবং গতিতে আকস্মিক পরিবর্তন হয়, যার ফলে পাইলটদের পক্ষে বিমান নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। কাঠমান্ডুর বিমানবন্দরকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অবতরণ ও ওড়ার সময় ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় শত শত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ১৯৯২ সালে থাই এয়ারওয়েজের একটি বিমান অবতরণের সময় ভেঙে পড়ে। এতে ১১৩ জন নিহত হয়। কয়েক মাস পর পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের একটি বিমান দুর্ঘটনায় পড়ে। বিমানবন্দরে অবতরণ করতে বিমানগুলোকে কেবল দক্ষিণ দিক থেকে আসতে হয়। বিমানবন্দরে একটাই রানওয়ে; সেটাও এবড়োখেবড়ো। রানওয়ে থেকে প্লেন ছিটকে পড়া থেকে শুরু করে কুয়াশাজনিত দুর্ঘটনা, কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে ২০-এরও বেশি বড় এবং ছোট দুর্ঘটনা ঘটেছে।