ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মস্কোর যদি সদিচ্ছা নিয়ে আলোচনায় বসতে চায়, তাহলে তারাও শান্তি বৈঠক করতে প্রস্তুত। কিন্তু ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুলেবা জানিয়েছেন, ‘রাশিয়ার মধ্যে সে রকম কোনো সদিচ্ছা তারা দেখতে পাচ্ছেন না।’ আবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘কিয়েভ এমন সব কথা বলছে, যার অর্থ বোঝা যাচ্ছে না।’ আলোচনা শুরুর জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির শর্ত হলো, রাশিয়ার সেনাকে তার দেশ থেকে চলে যেতে হবে। তারা পুরোপুরি চলে গেলেই শান্তি আলোচনা করা সম্ভব হবে। আর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনকে খেরসন, ঝাপোরিজঝিয়া, লুহানস্ক, দনেৎস্কের দাবি ছাড়তে হবে। এ এলাকার একটা বড় অংশ এখনো ইউক্রেনের অধিকারে আছে। তা সত্ত্বেও পুতিন এ দাবি করেছেন। বেয়ারবকের আবেদন : জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর জন্য চীনকে আরও সক্রিয় হতে বলেছেন। বেয়ারবক বলেছেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে চীনের শুধু যে ভেটো দেওয়ার অধিকার আছে তাই নয়, শান্তি ফেরানোর জন্য তাদের যাবতীয় ক্ষমতা প্রয়োগের দায়িত্বও আছে। তার মতে, ‘এর প্রথম ও প্রধান কথা হলো, আগ্রাসনকারীদের কোনো সমর্থন নয়। রাশিয়াকে কোনো সমর্থন নয়।’ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুলেবা চীন সফর করছেন।
শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে চীনের সঙ্গে তার আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেয়ারবক বলেছেন, যদি আমরা শান্তির পথে এগোতে পারি এবং চীন যদি নিরাপত্তা পরিষদে তার দায়িত্ব পালন করে, তাহলে খুবই ভালো হবে।