রাজধানীর জাতীয় চিড়িয়াখানার বাসিন্দার মর্যাদা পাচ্ছে মরুভূমির জাহাজ নামে খ্যাত উট ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় প্রাণী লাল ক্যাঙ্গারু। দরপত্রের মাধ্যমে কেনা হচ্ছে এক জোড়া উট ও এক জোড়া লাল ক্যাঙ্গারু। ঈদের পর ঢাকা পৌঁছবে এসব প্রাণী। উট আসবে ভারতের রাজস্থান ও লাল ক্যাঙ্গারু অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে। নতুন প্রাণীদের জন্য নতুন নতুন শেড তৈরি করা হয়েছে। এমনটাই জানালেন কিউরেটর ডা. এস এম নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ফ্যালকন ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। চিড়িয়াখানার এনিমেল কেয়ারটেকার মো. তসলিম উদ্দিন জানালেন, উটের জন্য প্রথমে কৃত্রিম মরুভূমি তৈরি করা হয়েছে। এতে ব্যাপকহারে মশা-মাছি নিধনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মলমূত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর রাখার জন্য মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। নোংরা পরিবেশ উটের প্রধান শত্রু। একটি উটের জন্য কমপক্ষে ১০ বর্গফুট জায়গার দরকার হয়। উট পালন অত্যন্ত লাভজনক। একটি উটের বাচ্চা লালন-পালনে মাসে ব্যয় হয় কমপক্ষে দেড় হাজার টাকা। অথচ দেড় বছরের মাথায় উটটির বিক্রয় মূল্য দাঁড়ায় কমপক্ষে ৭৫ হাজার টাকা। অন্যদিকে উট আরেকটি বাচ্চা দেওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ কেজি দুধ দেয়। উট প্রথমবার একটি বাচ্চা দেয়। দ্বিতীয়বার থেকে দুই থেকে ৩টি করে বাচ্চা প্রসব করে। একটি উট ৫০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। এছাড়া জাতিসংঘ, সৌদি আরব ও ভারতের প্রাণিবিজ্ঞানীরা উটের মাংস ও দুধের ওপর গবেষণা চালিয়ে আবিষ্কার করেছেন, এতে বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধি- ক্যান্সার, ডায়াবেটিক, পেটের আলসার, হাঁপানি, জন্ডিস, পাইলস, রক্তশূন্যতা, চর্মরোগসহ প্রায় ২০ ধরনের জটিল রোগ নিরাময় সম্ভব। উটের খাদ্য তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঘাস, খৈল, ভুসি, খড় ইত্যাদি। ক্যাঙ্গারু অস্ট্রেলিয়ায় সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। এ প্রাণীটি দেখতে যেমন অদ্ভুত তেমনি এর গায়েও অনেক শক্তি। তবে অস্ট্রেলিয়ায় রেড ক্যাঙ্গারু বা লাল ক্যাঙ্গারু সবচেয়ে বিখ্যাত। ক্যাঙ্গারু স্তন্যপায়ী প্রাণী। এরা মারসুপিয়াল গোত্রের প্রাণী। মারসুপিয়ালের অর্থ হল যে প্রাণী তার সন্তানকে পেটের থলের ভিতরে রেখে লালন-পালন করে। বেশিরভাগ ক্যাঙ্গারুর বাস অস্ট্রেলিয়ায়। যেসব এলাকায় বৃষ্টি হয় না সেসব এলাকায় ক্যাঙ্গারুর বসবাস। এ প্রজাতির প্রাণী খোলামেলা তৃণ প্রান্তরে বাস করতেও ভালোবাসে। যদিও ছায়ার জন্য প্রায়ই গাছের নিচে বসে থাকে। রোদের তেজ যখন খুব কম একমাত্র তখনই ক্যাঙ্গারু রোদ পোহায়। তারা সমভূমি কিংবা মালভূমির ঘাস ইত্যাদি খেয়ে জীবন ধারণ করে। খাবার সাধারণত এরা রাতের বেলাতেই খায়। দীর্ঘ সময় পানি পান না করলেও তাদের চলে। বহুদূর লাফাতে লাফাতে যেতে পারে। বেশিরভাগ পুরুষ ক্যাঙ্গারুর গায়ের রং ফ্যাকাশে বা মরিচা লাল। তবে কিছু এলাকায় নারী-পুরুষ দু’জাতের ক্যাঙ্গারুর গায়ের রংই লালচে। নবজাতক ক্যাঙ্গারু শিশুকে তার মা নিজের থলিতে একটানা ২৩৫ দিন বহন করে। তারপর বাহিরের প্রকৃতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে ছেড়ে দেয়। এ প্রাণী দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করে। বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাস এ প্রাণীর প্রজননকাল। গর্ভধারনের সাত মাস পর এক থেকে দুইটি বাচ্চা প্রসব করে।
শিরোনাম
- ১ ও ২ টাকার কয়েন নিয়ে নতুন যে নির্দেশনা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক
- চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
- পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত: ইসলামাবাদ
- আরও ৪৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দিল ইসরায়েল
- ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও আর্মার্ড কোরের রিক্রুট ব্যাচের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত
- সশস্ত্র ডাকাতির দায়ে ইরানে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পেলেন ১১১ প্রধান শিক্ষক
- চলতি মাসেই মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালার গেজেট : ধর্ম উপদেষ্টা
- জুলাই সনদে স্বাক্ষর করব, তবে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ উল্লেখ থাকতে হবে
- রেলওয়ের ১৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- আসাদকে হস্তান্তরে মস্কোকে অনুরোধ করবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট
- হেলিকপ্টার থেকে গুলির নির্দেশ দেন হাসিনা, তা প্রমাণিত : চিফ প্রসিকিউটর
- ওডেসার মেয়রের নাগরিকত্ব কেড়ে নিলেন জেলেনস্কি
- পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা
- ‘আমরা আশাবাদী আনন্দমুখর পরিবেশে জুলাই সনদে স্বাক্ষর হবে’
- রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চান সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট
- এইচএসসি পরীক্ষার ফল কাল : যেভাবে রেজাল্ট জানবেন
- সাবেক পুলিশ কমিশনার সাইফুলকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ
- বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড
- নির্বাচিত সরকারই কেবল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দিতে পারে : দুদু
অষ্টম কলাম
চিড়িয়াখানার বাসিন্দা হচ্ছে উট ও লাল ক্যাঙ্গারু
মোস্তফা কাজল
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর