কুমিল্লার মুরাদনগরের বাহেরচর গ্রামের ভুক্তভোগী নারীর সম্মতি না থাকায় পাঁচ দিনেও ডাক্তারি পরীক্ষা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফরেনসিক পরীক্ষা সম্পন্ন না হওয়ায় ধর্ষণ মামলাটির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুরুত্বপূর্ণ এ পরীক্ষা না হলে ধর্ষণ হয়েছে প্রমাণ করা কঠিন হবে। এদিকে পর্নোগ্রাফি মামলায় কারাগারে পাঠানো চার আসামির রিমান্ড শুনানি আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে। পুলিশ ও মেডিকেল সূত্রমতে, বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ষণের পর শুক্রবার ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে ফজর আলীকে আসামি করে মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এরপর শনিবার দুপুরে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় থানা পুলিশ। সেখানে পরীক্ষা প্রক্রিয়া শুরুর আগেই ভুক্তভোগী নারী তার মত বদলান।
তিনি কর্তব্যরত চিকিৎসককে জানিয়ে দেন পরীক্ষায় তার সম্মতি নেই। যার কারণে ধর্ষণ মামলায় গুরুত্বপূর্ণ এ পরীক্ষাটি সম্পন্ন করতে পারেননি চিকিৎসক।
মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, ধর্ষণের সময় ভুক্তভোগীর পরনে থাকা পোশাকসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এদিকে ডাক্তারি পরীক্ষায় সম্মতি দিয়ে তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে মত বদলানোর কারণে তার পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি।